
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে।
সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বানাব আগামী দিনের বাংলাদেশ,
স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক
মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু
জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে
মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল।
স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামাকাপড়
দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও
মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছিলেন আমার
দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের
কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল
না-সেইসব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা
বলেন, আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই
৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি
স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনকে
আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫
মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল
গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে পঁচাত্তরে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সব
শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তাঁরা।
শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা
প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এ বছর জাতীয় শিশু
দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন,
শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন।’