কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে বাঁশ ও মাটি ফেলে ৫০ বছরের পুরাতন চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ৫
পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও
থানা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী তহিদ নামের
এক ব্যক্তি। উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বিজয়করা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও
পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথদীঘি
ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল উল্লাহ চৌধুরী সড়কের উপর
দিয়ে বিজয়করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিজয়করা জামে মসজিদে যাতায়াতে
জনগণের জন্য সহজ রাস্তা হিসেবে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ব্যবহার হয়ে আসছে।
রাস্তাটি ওই এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি আগা আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর
পারিবারিক রাস্তা। যা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া আছে। এ রাস্তা
দিয়ে প্রতিদিন শত শত জনগণ ও অসংখ্য সিএনজি বেবি টেক্সি, মোটর সাইকেল,
কারসহ ভারী যানবাহনও চলাচল করে। গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার আগা হুমায়ন কবির
চৌধুরী গং হঠাৎ রাস্তার দুই দিকে বাঁশ ও মাটি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এতে আগা আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ির লোকজনসহ ৫টি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং
জনগণের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া হুমায়ন কবির চৌধুরী গংয়ের কতিপয়
সন্ত্রাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে মানহানিকর লেখালেখির মাধ্যমে
আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
ভুক্তভোগী মাস্টার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন,
‘আগা হুমায়ন চৌধুরী গংদের সাথে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই
জের ধরে তারা গত ৯ মার্চ আমাদের চলাচলের সড়কের উপর দিয়ে বাঁশ এবং মাটি
ফেলে আমাদের পাঁচ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ বিষয়ে আমরা থানাসহ
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করে বেড়া ও মাটি সরানোর জন্য আগা হুমায়ন চৌধুরীর পরিবারকে নির্দেশ দিলেও
তারা এখনও তা সরিয়ে নেয়নি। এতে করে আমরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি’।
অভিযোগের
ব্যাপারে আগা হুমায়ন কবির চৌধুরীর মুঠোফোনটি বন্ধ পেলেও ওই পরিবারের সদস্য
আবির চৌধুরী বলেন, ‘আগা আমিনুল ইসলামদের বাড়ির পাশে সরকারি একটি খাল(ছড়া)
দিয়ে আমাদের বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়ির বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনের জন্য
ড্রেনেজ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তারা মাটি দিয়ে ড্রেনটি ভরাট করে দেয়। আমরা
তাই বাঁশ ও বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ-জায়গাটি আমাদের
পরিবারের’।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থা
নিয়ে দুই পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত কয়েকদিন আগে বাক
বিতন্ডার জের ধরে আগা হুমায়ন বাঁশে বেড়া ও মাটি ফেলে সড়কটি বন্ধ করে
দিয়েছে। যার কারণে জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং একটি পরিবার অবরুদ্ধ
রয়েছে’।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ তাহের বলেন, ‘ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে দুই পরিবারের সাথে বিরোধের জের ধরে
আগা হুমায়ন কবির চৌধুরী গং সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি
মিমাংশার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে’।