কুমিল্লার চান্দিনায় এক নারীর কাছে সুদের পাওনা টাকা আদায় করতে তার শিশু মেয়ে সানজিদা আক্তার (৭)কে আটক করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশু ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রবিবার (১২ মার্চ) বিকেলে চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নূরপুর গ্রামের গার্মেন্ট কর্মী রীনা আক্তার অর্থনৈতিক অভাব অনটনে একই গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে বাৎসরিক ৩০ হাজার টাকা সুদে ৭০ হাজার টাকা ধার নেন। ওই পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রবিবার বিকেলে রীনা আক্তারের ৭ বছর বয়সী ছোট কন্যা সন্তানকে আটক করে রাখেন ফাতেম বেগম। পুলিশের জরুরী নম্বর ৯৯৯-এ এমন অভিযোগ পাওয়ার পর চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জালাল উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে শিশু সানজিদাকে উদ্ধার করে।
নির্যাতনে শিকার কিশোরী সানজিদার বড় ভাই শাহাদাত হোসেন জানান, আমার মা রীনা আক্তার প্রায় ২ বছর ১১ মাস আগে আমাদের একই গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে বাৎসরিক ৩০হাজার টাকা সুদে নগদ ৭০হাজার টাকা আনেন। দুই বছর ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা সুদ পরিশোধ করেন। ১১ মাস যাবৎ ফাতেমা বেগম আসল ৭০ হাজার টাকার জন্য আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। আবার ছোট বোনকে নানা বাড়ি পাশ্ববর্তী ফতেহপুর রেখে আমরা যারযার মতো কাজে গেলে সেখান থেকে আমার বোনকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আটকে রাখেন ফাতেমা বেগম।
খবর পেয়ে আমরা ফাতেমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে বোনকে ছেড়ে দিতে বললে ফাতেমা বেগম পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে আমার বোনকে ছাড়বে না বলে জানায়। এরপর তারা সকালেই ঘটনাটি জরুরী সেবা ৯৯৯ জানানোর পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে পরে দুপুরে চান্দিনা থানায় যেয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ লিখিত অভিযোগ নেয়ার পর বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, পাওনা টাকার বিষয়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই শিশু মেয়েটিকে উদ্ধারে করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। শিশুর পরিবারের সদস্যরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।