ম্যাচটা
 খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু সাকিব আল হাসানের দলও হাল ছাড়েনি। মিরপুর 
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিটা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ 
জিতেছে ৪ উইকেটে। ইংল্যান্ড যদিও আগে ব্যাটিং করে বেশি রান করতে পারেনি, 
১১৭ রানেই থেমেছে জস বাটলারদের ইনিংস। কিন্তু উইকেট দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ১১৭
 রান তাড়া করাটাও খুব সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য।
জফরা আর্চার, ক্রিস 
জর্ডান, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, মঈন আলীরা যে নিজেদের অভিজ্ঞতা আর 
সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। রান তাড়াটা সে কারণে সহজ হয়নি বাংলাদেশের।
 চট্টগ্রামের প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচের মতো ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেননি 
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কেউই। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও নাজমুল 
হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদরা স্নায়ুচাপ সামলে শেষ পর্যন্ত 
জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। অধিনায়ক সাকিবের কণ্ঠে তাই সতীর্থদের 
উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, ‘ম্যাচটা সহজ ছিল না। এ ধরনের ম্যাচে স্নায়ু ধরে রাখাটা
 খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্ত (নাজমুল হোসেন), মিরাজ (মেহেদী হাসান মিরাজ) 
দলের জন্য দুটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে।’
আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে 
প্রথম আর ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালেও ইংল্যান্ডের রানের গতি ভালোই ছিল। 
কিন্তু উইকেট তুলে নিয়ে সেই গতিতে লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। 
বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ বল করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে 
নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের সংগ্রহটাও তাই নাগালের বাইরে চলে যায়নি। 
সাকিবের মুখে দলগত পারফরম্যান্সেরই প্রশংসা, ‘ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালোই 
ছিল। কিন্তু আমরা আমাদের স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম। দলগত প্রচেষ্টাটা ছিল 
দারুণ।’
ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের কণ্ঠেও ছিল বাংলাদেশের 
প্রশংসা, ‘আজকের ম্যাচটি একটু অন্য ধরনের টি–টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। 
বাংলাদেশের প্রশংসা করতেই হচ্ছে, তারা আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে।’
নিজের দলের
 ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্সই প্রত্যাশিত ছিল বাটলারের, 
‘কোনো ব্যাটসম্যানই দ্রুত আউট হয়ে যেতে চায় না। কিন্তু এ ধরনের কঠিন উইকেটে
 আমরা চেয়েছিলাম কেউ না কেউ বেন ডাকেটকে সঙ্গ দেবে। বাংলাদেশের বোলিং ছিল 
দুর্দান্ত। তবে এত কম সংগ্রহ নিয়েও বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করা...আমি আমার
 দলের সবার পারফরম্যান্সে গর্বিত।’
                                                                                
