প্রথম
তিন ম্যাচে একটিও সেঞ্চুরি না পাওয়া অস্ট্রেলিয়া আহমেদাবাদ টেস্টের প্রথম
ইনিংসেই পেয়ে গেছে দুটি। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের এমন ব্যাটিং–বান্ধব
উইকেটে বিরাট কোহলিই বা পিছিয়ে থাকেন কীভাবে?
বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির
শেষ ম্যাচে আজ টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৭৫তম
সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। তিন অঙ্ক স্পর্শ করা ইনিংসটিতে ডাবলের
সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৮৬ রানে। কোহলির মাইলফলক স্পর্শের
দিনটিতে প্রথম ইনিংসে ৫৭১ রান তুলে ৯১ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
চতুর্থ
দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৩ রান তুলেছে
অস্ট্রেলিয়া। নাটকীয় কিছু না ঘটলে আহমেদাবাদ টেস্ট ড্রই হতে যাচ্ছে। সে
ক্ষেত্রে জুনে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার
মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে ভারতের।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে প্রথম
ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামা ভারত দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ২৮৯ রানে। কোহলি
অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। ১৫ ইনিংস পর ৫০ ছোঁয়া ইনিংসটিকে আজ সেঞ্চুরিতে
নিয়ে গেছেন কোহলি। এর আগে শেষবার টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালে
নভেম্বরে, ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
৪২ ইনিংস আর ৩৯ মাস পর আজ
পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরিটি। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে
এটি তাঁর ৭৫তম সেঞ্চুরি। এর আগে শুধু শচীন টেন্ডুলকারই ৭৫ সেঞ্চুরির
মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। তবে শচীনের যেখানে ৫৬৬ ইনিংস লেগেছিল, কোহলির
লেগেছে ৫৫২ ইনিংস। হয়েছে দ্রুততম ৭৫ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
৩৪ বছর বয়সী
ভারতীয় তারকা সেঞ্চুরি করেই থামেননি, ভারতকে নিয়ে গেছেন লিডের জায়গায়ও। এ
কাজে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন শ্রীকর ভরত ও অক্ষর প্যাটেল। শ্রীকরের সঙ্গে পঞ্চম
উইকেট জুটিতে আসে ৮৪ রান, ষষ্ঠ উইকেটে অক্ষরের সঙ্গে ১৬২।
২ চার ৩ ছয়ে ৪৪ রান করেন শ্রীকর, অক্ষর খেলেন ৫ চার ৪ ছয়ে ৭৯ রানের ইনিংস।
ষষ্ঠ
উইকেট জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার তোলা ৪৮০ রান পেরিয়ে যাওয়ার দ্রুত রান তোলায়
মনোযোগ ছিল ভারতের। অপেক্ষা ছিল কোহলির ডাবল সেঞ্চুরিরও।
শেষ পর্যন্ত
টড মারফির বলে কোহলি ডিফ মিডউইকেটে লাবুশেনের ক্যাচে পরিণত হলে ৫৭১ রানে
ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ভারত। ৩৬৪ বলে ১৫ চারে খেলা ১৮৬ রানের ইনিংস খেলা
গ্যালারির অভিবাদনে মাঠ ছাড়েন কোহলি।