স্টাফ রিপোর্টার: কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রহসনের প্রমোশন দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি
করেছেন। ৩৫ বছর পর ২৭৯০ জন কর্মকর্তার মধ্যে পদোন্নতি নিলেন মাত্র ৪০০ জন।
কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ সংখ্যা
প্রায় ১৫ হাজার। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩জন করে কর্মকর্তার পদ রয়েছে। ইতোমধ্যে
সরকার ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর থেকে তাদের পদ মর্যাদা ২য় শ্রেণির ১০ম গ্রেডে
উন্নীত করেন। বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা এবং প্রধান মন্ত্রীর
নীতিগত অনুমোদনের পরও কৃষি মন্ত্রণালয় তাদের পদমর্যাদা ও বেতন উন্নীত
করনের গেজেট প্রকাশ করেনি। এর মধ্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের গ্রেডেশন
নং ৬৮৪৮ থেকে ৯৬৩৭ পর্যন্ত ২৭৯০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য ২০২১
সালের ২১ সেপ্টেম্বর তাদের চাকুরী তথ্য চাওয়া হয়। যারা ইতোমধ্যে তাদের
চাকুরীর প্রায় ৩৫/৩৬ বছর অতিবাহিত করেছেন। এই ২৭৯০জন কর্মকর্তার মধ্যে
মাত্র ৪০০ জন পদোন্নতি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে তাদের তথ্য প্রদান করেন।
এপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৮ মে পর্যন্ত ৫ দফায় প্রায় ৪০০ জনকে তাদের নিজ
বেতনে, চলতি দায়িত্বে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার পদে পদোন্নতির আদেশ
জারি করেন মহাপরিচালক। প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা
জানান- নিজ বেতনে একই গ্রেডে চলতি দায়িত্বে পদোন্নতির এই ঘটনা দেশের এবং
বিশে^র ইতিহাসে একটি নজির বিহীন ঘটনা। এদিকে পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের
একজন আবুল কালাম আজাদ জানান- তাদেরকে নিজ জেলা ও অঞ্চলের বাইরে পদায়ন করা
হয়েছে। যা ডিএইর ইতিহাসে নজির বিহীন। তারা আরো বলেন পদোন্নতি জনিত কারণে
তাদের বেতন কমে গেছে। ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা ৬ মাসের
অতিরিক্ত চলতি দায়িত্বে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে তাদের অনেকের ১০
মাস অতিবাহিত হয়েছে, আবার অনেকেই চলতি দায়িত্ব নিয়েই অবসরে চলে গেছেন।
এছাড়া আখাউড়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নূরুল্লাহ ইউসুফ জানান, একই
গ্রেডে নিজ বেতনে পদোন্নতির আদেশটি সাংঘর্ষিক ও স্ববিরোধী। সহকারী কৃষি
সম্প্রসারণ কর্মকর্তাগণ ৯ম গ্রেডেই পদোন্নতি পাওয়ার কথা।