
পাঁচ
থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত
আদেশ জারি করেছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ
রোধে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের
টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের
জন্য শর্ত পূরণ ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা
অধিদফতরের রুটিন দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির
চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশে সব অঞ্চলের পরিচালক, উপপরিচালক সকল অধ্যক্ষ,
সরকারি ও বেসরকারি কলেজ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
শর্ত ও নির্দেশনা
১। শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা হবে ৫ বছর থেকে ১১ বছর (১১ বছর ৩৬৪ দিন);
২। শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে;
৩। শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে;
৪।
যে সকল শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর নেই তাদের অবশ্যই ১৭
ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও
অভিভাবকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে:
৫। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়;
৬।
বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে
নির্ধারিত “এক্সেল ছকে" নির্ধারিত ফরম্যাটে
ংঃঁফবহঃ.ফংযব.াধপপরহধঃরড়হ@মসধরষ.পড়স ঠিকানায় তথ্য প্রেরণ করবে;
৭। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা এমনভাবে প্রণয়ন করবে যাতে কোনও শিক্ষার্থী বাদ না পড়ে;
৮।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয়
প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদেরকে নিয়মিত এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত
অবহিত করবে;
৯। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম
সম্পন্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কাউট/গার্ল গাইডস/রোভার স্কাউট/গার্ল ইন
রোভার/রেডক্রিসেন্ট/বিএনসিসি সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োজিত করবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দল নেই সেগুলোতে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের নিয়ে
প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে:
১০। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান টিকাদান কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করবে;
১১। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে;
১২।
টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শের জন্য
সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক /উপপরিচালক/জেলা শিক্ষা/উপজেলা মাধ্যমিক
শিক্ষা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দফতরে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যোগাযোগ
রক্ষা করবেন।