Published : Friday, 29 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 29.07.2022 1:25:47 AM

সাঈদ হাসান, কুবি ||
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষকদের পদোন্নতির নীতিমালায় অবেক্ষাধীনকালে
শর্ত আরোপ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ
সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত
প্রত্যাহারসহ বেশ ৪টি দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বর্তমান শিক্ষক সমিতির ৩য়
সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত
আপগ্রেডেশন নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। যেখানে অবেক্ষাধীনকালে
শর্ত আরোপের বিষয়ে কোন বিধান নেই। কিন্তু বিগত কয়েকটি সিন্ডিকেটে পদোন্নতি
প্রাপ্তির পর অবেক্ষাধীনকালে নানা ধরনের শর্ত প্রদান করে পদোন্নতি দেয়া
হয়েছে। যেসকল শিক্ষকদের অবেক্ষাধীনকালে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করা হয়েছে, আসন্ন
সিন্ডিকেটে ভূতাপেক্ষভাবে তা প্রত্যাহার করা হোক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা
হয়, এখানে অনেক শিক্ষক বিভিন্নভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন। তাই সকল
স্তরে অটোমেশন পদ্ধতি চালু, দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত ও সকল
ধরনের র্যাংকড জার্নালে প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত করে প্রণোদনা
প্রদানের মাধ্যমে গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি না করে এ ধরণের শর্ত আরোপ
করা শিক্ষকদের উপরে নিপীড়নের শামিল।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,
প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে জুলাই মাসের বেতনের সাথে পিএইচডি ডিগ্রি
অর্জনের জন্য তিনটি ইনক্রিমেন্ট প্রদানের বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা
হয়েছিল। আসন্ন সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়।
৮২তম
সিন্ডিকেটে কয়েকজন শিক্ষককে অবেক্ষাধীনকালের মধ্যে নির্দিষ্ট জার্নালে
গবেষণা প্রকাশে ব্যর্থ হলে তাঁকে স্বীয় পদে চাকুরী স্থায়ীর সুপারিশ করা হবে
না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ফলে একই পদে নিয়োজিতদের মধ্যে যে বা যিনি
শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবেন তাঁর জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ন হবে দাবি করে শিক্ষক সমিতি
এই শর্তটিকে কালো আইন বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রশাসন এসব দাবি বাস্তবায়ন না
করলে শিক্ষক সমিতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এছাড়া
শিক্ষকদের নিয়মে দু’দিনব্যাপী কনফারেন্স আয়োজনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে
গৃহীত হয়। উপর্যুক্ত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়িত না হলে, পরবর্তীতে শিক্ষকদের
মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষক সমিতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ককরা হবে বলে
জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন,
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছি এবং নতুন
কোন নিয়ম আরোপ করতে হলে প্রচলিত নিয়মটি সংশোধন করতে হবে। শিক্ষকদের
পদোন্নতির জন্য বিভিন্ন শর্ত দেওয়া থাকে, তা সম্পন্ন করে একজন শিক্ষকেরা
পদোন্নতি পায়। প্রশাসন পদোন্নতির ক্ষেত্রে একেকজনকে একেক শর্ত দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৮২তম সিন্ডিকেট অবেক্ষাধীনকালের মধ্যে নির্দিষ্ট
জার্নালে গবেষণা প্রকাশের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে একেকজনকে একেক
শর্ত দিচ্ছে প্রশাসন। যা শিক্ষকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শিক্ষকেরা মনে করেন নীতিমালা সংশোধন করে এরকম বিষয় বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া
যেন পূর্বের নিয়মে পদোন্নতি দেওয়া হয়।