পুলিশ কনস্টেবল শাহ আলম। গত ৯ মে ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষণের জন্য নেদারল্যান্ডসে যান। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন তিনিসহ দুই কনস্টেবল হোটেল থেকে বের হন। এরপরই নিখোঁজ হন তারা।
তবে এরই মধ্যে খোঁজ মিলেছে অপর নিখোঁজ কনস্টেবল রাসেল কান্তি দে’র। পুলিশের চাকরি ভালো না লাগায় নেদারল্যান্ডসে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে হোটেল থেকে পালিয়েছেন রাসেল। এমন কথাই বড় ভাই সুভাষকে ফোন করে জানিয়েছেন তিনি।
নিখোঁজ শাহ আলম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্দেরখীল গ্রামের শাহ জাহানের ছেলে। নিখোঁজ খবরের পর থেকে শাহ আলমের পরিবারের দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশা, শাহ আলম দেশে ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করে পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনবেন।
শাহ আলমের বাবা শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে বর্তমানে কোথায় আছে জানি না। নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার আগে বলে গেছে প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে যাচ্ছে। তারপর থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তিন-চারদিন আগে বাড়িতে পুলিশ এসে শাহ আলমের খোঁজ করলে আমরা বলি, সে তো প্রশিক্ষণে নেদারল্যান্ডসে গেছে।
‘তখন তারাই বলেন, শাহ আলম সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। এরপর থেকে প্রশাসন আমাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছে। বার বার থানায় ডেকে নেওয়া হচ্ছে। রেখে দিয়েছে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও।’
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ২০১৬ সালে শাহ আলম যখন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে যোগদানের জন্য মনোনীত হন তখন আমরা তার চাকরির ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলাম। কোনো ঘুষ ছাড়াই তার চাকরি হয়। সে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ গিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আশা করছি তার ভুল বুঝতে পেরে দেশে ফিরে আসবে।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, প্রশিক্ষণে গিয়ে পালিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে সে। তার উচিত হবে দেশে ফিরে এসে ভুল শিকার করা। এতে করে কিছুটা হলেও আমাদের সুনাম রক্ষা হবে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। এর বাইরে আর কিছুই জানি না।