সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই দেবিদ্বারে যাত্রীরা জিম্মি
Published : Wednesday, 1 June, 2022 at 12:00 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
কুমিল্লার দেবিদ্বার-চান্দিনা রোডে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই। এ রোডে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ চালকদের বিরুদ্ধে। পৌরসভা কর্র্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার তালিকার সাইনবোর্ড না থাকায় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। এ নিয়ে সড়কে চলাচলরত যাত্রীদের অভিযোগ থাকলেও বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি জানান সাধারণ মানুষ।
এদিকে, দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কে যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো.আশিক উন নবী তালুকদারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কুমিল্লা আদালতের আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন সরকার শান্তি। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ সড়কে চলচল করা অধিকাংশ সিএনজি অটোরিক্সর লাইসেন্স নেই, চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে ৩৫ টাকার ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা আদায় করছে। কেউ নিয়মনীতির তোয়াক্কা মানছেন না। গত ১৮ মে স্থানীয় প্রশাসন ও সংসদ সদস্যের বরাবর আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।
জানা গেছে, দেবিদ্বার থেকে চান্দিনার সড়কের দুরত্ব ১৪ কিলোমিটার। বিএরটিএ’র নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি কিলো ভাড়া ২টাকা ৩০পয়সা। ওই হিসেবে এ রোডের ভাড়া হয় ৩৫ টাকা। কিন্তু চালকরা বিআরটিএ’র নীতিমালা না মেনে ৫০/৬০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তো কথাই নেই ১০০ থেকে দেড়শো টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায় ভাড়া।
ব্যবসায়ী মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেবিদ্বার-চান্দিনা একটি ব্যস্ততম সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ সড়কে চলাচল করে। সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা যাত্রীদের এক প্রকার বাধ্য করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এছাড়াও সন্ধ্যার পর এ সড়কে বিকল্প যানবাহন না থাকায় যাত্রীদের দিতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া। প্রয়োজনে রাত গড়িয়ে সকাল হবে, তবুও তারা মনমতো ভাড়া না হলে যাবেন না। মো. রফিকুল ইসলাম নামে অন্য এক ব্যবসায়ী জানান, পৌরসভার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের তালিকার সাইনবোর্ড নেই, যার কারণে অনেক যাত্রী জানেন না এ রোডের ভাড়া কত।
সিএনজি চালানো ছেড়ে দিতে হবে জানিয়ে সিএনজি চালক নাজমুল ও আবদুর রহমানসহ কয়েকজন চালক জানান, সিএনজির পার্টস দাম ও মেরামত খরচ দ্বীগুণ হওয়ায় আমরা বাধ্য হচ্ছি ভাড়া বেশি নিতে। আমাদের মধ্যে অনেকেই সিএনজি বিক্রি করে অন্য পেশায় কাজ করছে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, বিএরটিএ নীতিমালা ছাড়া যারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবে তাদের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব শিঘ্রই পৌরসভার নির্ধারিত ভাড়া তালিকার সাইনবোর্ড টাঙানো হবে।