
জহির শান্ত:
নির্বাচনে
লাঠিসোটা কিংবা পেশিশক্তির ব্যবহার না করার আহবান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কুমিল্লায় আমরা একটি মডেল
নির্বাচন করতে চাই। সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট
সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এখানে ভোট হবে ইভিএমে। সুতরাং পেশিশক্তির ব্যবহার
করে কোনো লাভ হবে না। ভোট কেন্দ্রে কিংবা বাইরে পেশিশক্তি ব্যবহার করলে
নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা রয়েছে তা ব্যবহার হবে।
রবিবার (২৯ মে)
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় জেলা
শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।
সিইসিকে কাছে
পেয়ে এদিন নানা শঙ্কার কথা তুলে ধরেন প্রার্থীরা। তাদেরকে আশ্বস্ত করে কাজী
হাবিবুল আউয়াল বলেন, কুমিল্লায় ভোট সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন কোনো
যুদ্ধক্ষেত্র নয়। প্রার্থী ও সমর্থকদের আবেগ সংযত করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে
হবে আবেগ যেনো সহিংস না হয়। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলতে হবে। কারো
বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা
নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
ইভিএম নিয়ে শংকিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে সিইসি
বলেন, ভোটারকে চিহ্নিত করে মনিটরে দেখা হবে। যদি কারো আঙ্গুলের ছাপ নাও
মিলে তার ভোটার নাম্বার দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি ভোট দিতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে ভোটারকে অবশ্যই ভোটার আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে যেতে
হবে।
প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে কেউ কূটকৌশলের আশ্রয়
নিবেন না। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ
করবো। কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গ, পেশি শক্তির ব্যবহার কিংবা হুমকি-ধমকির
অভিযোগ প্রমাণিত হলে কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা
নির্বাচনের আগে হোক কিংবা পরে হোক কোনো প্রকার অভিযোগের প্রমাণ পেলে সে
অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোট হবে
ইভিএমে। এক্ষত্রে জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটার যদি কেন্দ্রে
উপস্থিত হন, তিনি ভোট দিয়েই যেতে পারবেন। ইভিএমে ভোট নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই;
একের ভোট অন্যের কাছে চলে যাওয়ারও সুযোগ নেই। কোনো কারণে যদি ইভিএম
ভোটগ্রহণ স্লো হয়ে যায়, সমস্যা নেই। ভোটার উপস্থিত থাকলে প্রয়োজনে রাত ১০টা
পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। তবে জোর করে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে যাবেন না।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায়
বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিচব ফরহাদ আহাম্মদ খান, কুমিল্লা
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী, কুমিল্লার পুলিশ
সুপার ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল
তালুকদার।
প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র
মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, নিজাম উদ্দিন কায়সার, আওয়ামী লীগ প্রার্থী
আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক
উল্লাহ খোকন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলাম শাসনতন্ত্র
আন্দোলনের প্রার্থী রাশেদুল ইসলামসহ কয়েকজন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী।