কুমিল্লার চান্দিনায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের ওপর গুলির ঘটনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৭ এ রেদোয়ান আহমেদের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
এ সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া বাদীপক্ষ রেদোয়ান আহমেদের রিমান্ড আবেদন করলে তাও নামঞ্জুর করা হয়।
এর আগে ২৪ মে জেলা জজ আদালত থেকেও জামিন পাননি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজালাল মিঞা শিপন জানান, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রোগ্রামে রেদোয়ান আহমেদ হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে গুলি চালান। আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করে আদালতকে বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা জামিন আবেদনের পাশাপাশি রিমান্ড আবেদন বাতিলের আবেদন করি। আদালত রিমান্ড ও জামিন বাতিল করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে বিকালে মমতাজ আহমেদ ভবনে কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পালটাপালটি ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। বেলা ১টার পর থেকে ছাত্রলীগের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেন।
বেলা আড়াইটায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা তাকে একই স্থানে এলডিপির প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেন এবং ছাত্রলীগও প্রোগ্রাম করবেন না বলে জানান।
এ কারণে তিনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনো এক ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে তরমুজ ছুড়ে মারে। এ সময় রেদোয়ান আহমেদ গাড়ির জানালা খুলে পরপর দুটি গুলি করেন। এতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। মামলায় রেদোয়ান আহমেদসহ চারজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।