
৭০
বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। অবস্থা এতই
করুণ নিজেদের ইতিহাসে দেশটি এই প্রথম ঋণখেলাপিও হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়তে
পারে দেশটির এশিয়া কাপ আয়োজনের ওপর। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে,
দেশটিতে চলমান অরাজক পরিস্থিতির কারণে সরে যেতে পারে টুর্নামেন্টটি। আর
শ্রীলঙ্কা থেকে সরে গেলে এশিয়া কাপের সম্ভাব্য আয়োজক হতে পারে বাংলাদেশ।
তেমনটি
হলে ১৫তম এশিয়া কাপের আয়োজক তৃতীয়বার বদলাবে। করোনা মহামারিতে ২০২০ সালে
টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা থাকলেও সেবার তা স্থগিত করা হয়েছিল। যার আয়োজক ছিল
পাকিস্তান। নতুন করে শ্রীলঙ্কাকে আয়োজক বানিয়ে এই বছরের আগস্টে হওয়ার কথা
এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু দেশটিতে চলমান অচলাবস্থায় এসিসির এক কর্মকর্তা
ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি বিকল্প।
এসিসি শ্রীলঙ্কার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। তার পরেই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত
নেবে।’
সর্বশেষ আসরটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। আয়োজক ছিল সংযুক্ত
আরব আমিরাত। তাই এবার মরুর দেশটিকে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে না বলে জানালেন ওই
কর্মকর্তা, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিবেচনায় নেই।’
রাজনৈতিক
কারণে ভারত-পাকিস্তান এর আয়োজক হলে ঝামেলা হতে পারে এই দুটি দেশকে নিয়ে।
দেখা যাবে পাকিস্তান আয়োজক হলে বৈরিতার কারণে ভারত তাতে খেলতে রাজি হলো না।
আর মধ্যপ্রাচ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ক্ষেত্রে তীব্র গরমের কথাও মাথায়
রাখতে হবে। তাই সব দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশকেই আদর্শ স্থান ভাবছে এসিসি।
কিন্তু সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড শ্রীলঙ্কাকে আয়োজক
রাখতে এসিসি সভাপতি জয় শাহকে অনুরোধ করে যাচ্ছে।
পূর্ব সূচি অনুযায়ী
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা ২৭ আগস্ট। চলবে ১১
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত।