নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার সদর দক্ষিণে খারিজ খতিয়ান ছাড়াই জমির দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ উঠায় উক্ত সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থা জারি করেছেন আদালত। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারার বিধান মতে নাশিলী সম্পত্তির উপর স্থিতিবস্থাসহ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ স্থিতিবস্থা জারি করেছেন।
এর আগে সদর দক্ষিণ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে বেআইনীভাবে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ করেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলী বড় ভাতুয়া এলাকার হাজী ওচমান আলীর আবদুল খালেক। গত বছরের ২৬ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর বিশ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত অভিযোগটি করেন তিনি। অভিযোগের অনুলিপি ভূমি মন্ত্রণালয়, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশন-ঢাকা ও দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা জেলা শাখায় প্রেরণ করা হয়।
সেই সময়ে দাখিলকৃত অভিযোগে আবদুল খালেক উল্লেখ করেন, ‘আমার মালিকীয় দখলীয় সম্পত্তি বাবতে বিগত ৪/১০/২০২১ ইং তারিখে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ১০০৫১ নং সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। উক্ত দলিলটি রেজিস্ট্রি করার সময় ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন আইনে ৫২ (ক) ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছে। তিনি অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে রফিকুল ইসলাম ও আবদুল বাসিদ এর নাম পরিচয় ব্যবহার করে তাদের কোনো প্রকার খারিজ খতিয়ান ও খাজনা দাখিল না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন- তা বোধগম্য নয়। সাব রেজিস্ট্রার মহোদয় অন্যায়ভাবে লাভ হওয়ার হীন মানসিকতায় রফিকুল ইসলাম ও আবদুল বাসিদ কিংবা দাতার টিপসহি শনাক্তকারী আশিকুর রহমানের সহিত যোগসাজশে বর্ণিত দলিলটি রেজিস্ট্রি করিয়াছেন। যাহা রেজিস্ট্রেশন আইনে বিধি লঙ্ঘন হওয়ার শামিল।’
অভিযোগে আবদুল খালেক অনিয়মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলটি বাতিল, সাব রেজিস্ট্রার কৃর্তক দায়িত্ব অপব্যহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ স্থিতিবস্থা জারি করেছেন বলে জানা গেছে।