ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সৌদি আরবে কুমিল্লার এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবার বলছে হত্যা
Published : Tuesday, 10 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 10.05.2022 12:47:20 AM
সৌদি আরবে কুমিল্লার এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবার বলছে হত্যা ইসমাইল নয়ন।।
সৌদি আরবে নিজ কর্মস্থল থেকে বাংলাদেশী যুবক হাসিবুল হাসান মুন্সীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার(৮ মে) হাসিবুল হাসান মুন্সীর মা নাসিমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাদের দাবি, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। হাসিবুল হাসান মুন্সীকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন বাবা-মা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করছেন তিনি। মরদেহটি দেশে আনার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আহাজারি করছেন ছেলে হারা পরিবার। হাসিবুল হাসান মুন্সীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ গ্রামে। ওই গ্রামের আবদুল হান্নান মুন্সীর বড় ছেলে সে। মা-বাবা স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানসহ আরও অনেকে রয়েছেন দেশে।
 রবিবার সৌদি আরবের মক্কা এলাকার একটি হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ৷ হাসিবুল হাসান মুন্সীর সহকর্মীদের সাথে কথা বলে তেমন কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। হাসিবুল হাসান মুন্সী তিন দিন নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি হাসিবুল হাসান মুন্সীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গাড়ি চাপায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করছে সেখানকার মালিকপক্ষ। বাংলাদেশি প্রবাসি শামীম মুঠোফোনে জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর হাসিবুল হাসান মুন্সী মারা গেছে আমি আজ রবিবার রাতে খোজ নিয়ে জানতে পারেছি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি দেশে জানানোর চেষ্টা করেছি। নিহতের মা নাসিমা বেগম জানান, সৌদিতে বৃহস্পতিবার সকালে ছেলের সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। পরের দিন শুক্রবার ভোরে স্ত্রীর সাঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানান। এর পর থেকে বাড়ি থেকে চেষ্টা চালিয়েও তার সঙ্গে টানা তিন দিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এতে নিহতের খালু শুশুরকে কর্মস্থলে পাঠানো হয়। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পান। পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে স্থানীয় আত্মীয়ের মাধ্যমে চাকরির জন্য হাসিবুল হাসান মুন্সী প্রবাস নামক সৌদিতে পাড়ি জমান। তবে গত তিন মাস আগে দেশে এসে আবার তার কর্মস্থল প্রবাসে চলে যান তিনি।