
জুলফিকার নিউটন ।।
রবীন্দ্রনাথ
বলেছেন, ‘গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি/তখন তারে চিনি আমি, তখন তারে
জানি।’ আমরা পড়ে আছি পৃথিবীর একটা কোণে, সেখান থেকে বিশ্বভূবনের ধারণা করব
কি করে? আমাদের অক্ষম কল্পনাশক্তি খুব বেশি দূরে আমাদের নিয়ে যেতে পারে না।
কবি-সাহিত্যকদের কথা আলাদা। তাঁরা সুদূরের পিয়াসী, দূরাভিসারী তাঁদের মন।
কিন্তু তাঁরাও অবাধ ভ্রমণে অক্ষম। এমন যে রবীন্দ্রনাথ, তিনিও বলছেন, ‘মোর
ডানা নাই, আছি এক ঠাঁই। কত গান, কত কবিতা, কত নাটক রচনা করলেন, তথাপি
বলেছেন, কথাগুলো পায়ে হেঁটে খুব বেশি দূর যেতে পারে না। কিন্তু যখনই গানের
কথায় সুর যোজনা করেছেন তখনই এই ভেবে তৃপ্ েিবাধ করেছেন যে, গানের কথাগুলো
ডানা মেলে উড়তে শিখেছে। ভিন ভাষাভাষী যারা গানের কথা বুঝবে না, তারাও সুরের
ভাষা বুঝতে পারবে। কথা যদি মনকে না ছোঁয়, সুর মনকে ছুঁতে পারবে। অন্যত্র
বলেছেন, ‘আমরা সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাইনে তোমারে।’ সঙ্গীতজ্ঞ মহলে কথা এবং
সুর দু’-এর মধ্যে বহু কাল থেকে একটা দ্বন্দ্ব চলে আসছে। শাস্ত্রজ্ঞরা
বলেন, সুরই গানের ভাষা, কথার কোন প্রয়োজনই নেই। রবীন্দ্রনাথ নিজেও কথাকে
বলেছেন মুখরা। কিন্তু আমি বলি কি, মুখরাও মধুরা হতে জানে। রবীন্দ্রনাথ মূলত
কবি। কবিকে কথা দিয়েই কাব্য রচনা করতে হয়। রবীন্দ্রনাথ যখন সঙ্গীত রচনা
করেছেন তখনও তিনি প্রথমে কবি, পরে সুরকার। যা হোক, সুরজ্ঞ ব্যক্তিরা যাই
বলুন, আমার কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা মোটেই অনাবশ্যক নয়। কেননা, প্রতিটি
গানের কথাই কাব্যগুণে গুণান্বিত। সুরসংযোগে না শুনে যদি নিছক কাব্য হিসাবে
পাঠ করা যায়, তাহলেও তাঁর গানের মাধূর্য গোপন থাকে না। কাব্যগুণই তাকে
গীতময় করেছে। একশোবার স্বীকার করব যে সুরের পাখা আছে উড়বার ক্ষমতা আছে। তবু
বলব, গানের কথাও নিতান্ত পদাতিক নয়, কথারও পাখা আছে এর কথা আগইে বলেছি।
গীতবিতান সঙ্গীত সংকলন গ্রন্থ হয়েও কাব্যগ্রন্থ। তিনি বলতে কি, আমি
গীতবিতানকেই বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বলে মনে করি।
বলে নেওয়া
ভাল, আমি সঙ্গীতজ্ঞ মানুষ নই, রাগরাগিণীর জ্ঞান আমার নেই। রবীন্দ্রনাথ
যাদের পরিহাস করে বলেছেন “সুর-কালা” কিংবা বলেছেন “অ-সুর” আমি তাদের বলি।
কাজেই রবীন্দ্রনঙ্গীতের সাঙ্গিতিক রূপটার চাইতে কাব্যিক রূপটাই আমার কাছে
বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। সুকণ্ঠ গায়ক-গায়িকার কণ্ঠে সে গান শুনে যে আনন্দ
পেয়েছে তাকে মনে করেছি উপরি পাওনা। সঙ্গীতজ্ঞরা আমার সঙ্গে একমত হবেন না,
সে কথা জানি। একবার লখনউ প্রবাসী একজন বাঙালি ওস্তাদের মুখে সঙ্গীতের
আলোচনা শুনেছিলাম। তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পন্ডিত। চমৎকার বক্তা, মাঝে মাঝে
গান করে তাঁর বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করছিলেন। মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। ভদ্রলোক কবি
আত্মপ্রসাদ সেনের প্রিয়পাত্র। এক সময়ে বললেন, আমি অতুলদাকে বলি, আপনি তো
গান লেখেন না, একেকটি কবিতা লেখেন। অর্থাৎ বলতে চেয়েছেন, সঙ্গীত অত কথার
প্রত্যাশী নয়। দুটি-একটা পদই যথেষ্ট। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে
রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কেও উক্ত ভদ্রলোক ওই ধারণাই পোষণ করতেন। যাক্
সঙ্গীতচর্চায় কথা এবং সুরের দ্বন্দ্ব কোন কালেই শেষ হবে না। আমি গোড়াতেই
স্বীকার করে নিচ্ছি যে রাগরাগিণীতে অজ্ঞ বলেই আমার কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত
প্রধানত কথা-নির্ভর। বলা নি®প্রয়োজন যে এটি সাঙ্গিতিক আলোচনা নয; প্রবন্ধটি
অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা।
রবীন্দ্রসঙ্গীতে গীতিকার এবং সুরকার দুই-ই
রবীন্দ্রনাথ নিজে কথা তাঁর, সুরও তাঁর। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজেও
কথার চাইতে সুরকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। গোড়ায় যে গানটির উল্লেখ করেছি
তাতে বলেছেন, গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখেন (এখানে গান বলতে নিসন্দেহে সুর
সংযোগে) তখন বিশ্বভূবনের মূর্তিটা বদলে যায়, অনেক বেশি মনোহর হয়ে দেখা দেয়।
বলছেন ‘তখন তারি আলোর ভাষায় আকাশ ভরে ভালোবাসায়।’ স্বীকার করতে বাধা নেই,
সুর তাঁর তারি আলোর ভাষায় আকাশ ভরে ভালোবাসায়।’ স্বীকার করতে বাধা নেই, সুর
তাঁর যতখানি মনোহরণ করে, আমাদেরও ততখানি করে বললে একটু বেশি বলা হবে।
কেননা, ‘আলোর ভাষা’ আমাদের কাছে খুব স্পষ্ট নয়; ‘আকাশ ভরে ভালোবাসায়’
কথাটাও একটু ঝাপসা ঠেকে। যদি বলতেন, মন ভরে যায় ভালোবাসায়, কথাটাও একটু
ঝাপসা ঠেকে। যদি বলতেন, মন ভরে যায় ভালোবাসায়, তাহলে কথাটা বোঝা আমাদের
পক্ষে সহজ হত। ‘আলোর ভাষা’ বলতে তিনি বুঝেছেন সুরের ভাষা। ওই সুরের ভাষা
রবীন্দ্রনাথের কাছে যতখানি সহজবোধ্য আমাদের কাছে ততখানি নয়। আসল কথা, সুরের
প্রভাব রবীন্দ্রনাথকে যত দূরে, যত গভীরে নিয়ে যেতে পারে আমাকে তা পারে না;
কেননা, সুরের ভাষাটা আমার জানা নেই। এ ছাড়া আরেকটা কথাও আছে; এ গানে
আগাগোড়া যেসব কথা ব্যবহার করা হয়েছে তা বেশির ভাগই অনুভূতিসাপেক্ষ। অনুভূতি
ক্ষমতা সকলের সমান নয়। এর ফলে গানের প্রত্যেকটি পদই আমাদের কাছে একটু
ঝাপসা ঠেকে। লক্ষ করলে দেখা যাবে, পরে যখন শান্তিনিকেতনের ছেলেমেয়েদের জন্য
গান রচনা করেছেন তার ভাষা অনেক সহজ হয়ে এসেছে, কারণ সে ভাষা অনুভূতির
ততখানি নয়, যতখানি উপভোগের। আনন্দের আর সৌন্দরে্যর উপকরণ সর্বত্র ছড়িয়ে
আছে, যত পার দু’ হাত ভরে লুঠ করে নাও। বলেছেন, ‘আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেব
সে লুঠ করে।’
সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের সর্বক্ষণের সাথী। মনে একটা সুরের
গুনগুনানি সারাক্ষণ লেগেই থাকত। বলেছেন, গান আমি শিখিনি, গান আমি
পেয়েছিলাম। এ তো আরো বড় কথা। অর্থাৎ কিনা গান আপনা থেকেই এসে তাঁর কাছে ধরা
দিয়েছিল। অশিক্ষিত পটুত্ব যাকে বলে সে খুব উঁচু দরের জিনিস, তারই নাম
প্রতিভা। তাহলেও বলব, জ্ঞাতসারে হোক, অজ্ঞাতসারে হোক, সঙ্গীতের সাধনা
করেছেন আজীবন। রাগরাগিণী সম্পর্কে জ্ঞান ছিল সুগভীর। সঙ্গীতের প্রসঙ্গ
উত্থাপিত হলেই তা প্রকাশ পেত, এমন কি সাধারণ কথাবার্তারও। ‘ছিন্নপত্রের
একটা চিঠিতে বলেছেন, ‘এতক্ষণ কোন কাজ না থাকাতে নদীর দিকে তাকিয়ে গুনগুন
স্বরে ভৈরবী টোড়ি রামকেলি মিশিয়ে একটা প্রভাতী রাগিণী সৃজন করে আপন মনে
আলাপ করছিলাম, তাতে মনের ভিতর এমন একটা সুমধুর চাঞ্চল্য জেগে উঠল, এমন একটা
অনির্বচনীয় ভাবের আবেগ উপস্থিত হল, মুহূর্তের মধ্যে আমার এই বাস্তব জীবন
এবং বাস্তব জগৎ আগাগোড়া তার মূর্তি পরিবর্তন করে দেখা দিলে...।’
রাগরাগিণী
সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ বলে ভৈরবীর সঙ্গে টোড়ি এবং রামকেলির মিশ্রণে যে
সুর-মাধুরীর সৃষ্টি হয় তা বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই। সেজন্যে
রবীন্দ্রসঙ্গীতের মহিমা আমার কাছে প্রধানত কথা-নির্ভর। কথাই মনে ভুলিয়েছে,
সুর ব্যতিরকেও এর কাব্যগুণ গোপন থাকেনি। সুরের মাধুর্য থেকে যেটুকু পেয়েছি
সেটুকু অধিকন্তু। এ কথা নিশ্চিত যে, সুরের জ্ঞানটি বিজ্ঞানসম্মত হলে
উপভোগটি গভীরতর হত। সুরের ভাষা যথাযথভাবে বুঝিনে বলে কথার ভাষার উপরেই
আমাকে নির্ভর করতে হয়েছে। গানকে পেতে হয় সুরে রসে। সুরের দিক থেকে যা বাদ
পড়েছে, রসের দিক থেকে তা পুষিয়ে সেবার চেষ্টা করেছি। সুরের মধ্যে রস যতখানি
ধরা দেয়, কথার মধ্যে, বিশেষ করে রবীন্দ্রসঙ্গীতে তার চাইতে কিছু কম দেয়
বলে মনে হয়নি। ইংরেজি বা অন্য ভাষায় অনুদিত ‘গীতাঞ্জলি’র রস বিদেশিরা কথার
মধ্যেই পেয়েছে, গীতের মধ্যে নয়।
বলে নেওয়া ভালো যে, আমার এ আলোচনা কথা
এবং সুরের দ্বন্দ্ব নিয়ে নয়। বিষয়টা ব্যাপকতর। রবীন্দ্রনাথ তো শুধু গীতিকার
বা সুরকার নন। কাব্যসাহিত্যের জগতে তিনি বলতে গেলে এক বিশ্বকর্মা। গান,
কবিতা, গল্প-উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, মৌখিক ভাষণ, অগণিত চিঠিপত্র, সব
মিলিয়ে একটা গোটা জগৎ সৃষ্টি করে গিয়েছেন। নাম দেওয়া যেতে পারে পারে
রবীন্দ্র-জগৎ। রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, ‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি’
আমাদেরও তেমনি বলতে হয়, বিপুল রবীন্দ্র-জগতের কতটুকু আমরা জানি বা বুঝি!
যেমন তার বিস্তার তেমনি তার গভীরতা। কাব্য, নাটক, গল্প, উপন্যাস, মন্দিরের
ভাষণ এবং প্রবন্ধবলীকে যদি আলাদা আলাদা করে দেখি তাহলে বিরাট রবীন্দ্র
জগৎকে খন্ডিতভাবে দেখা হবে, তার সমগ্র রূপটি পাওয়া যাবে না। গোড়ায় উদ্বৃত
গানটিতে রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, গানের ভিতর দিয়ে যখন বিশ্বভূবনকে দেখেন
তখনই তাকে ঠিকভাবে দেখেন এবং চেনেন, আমরাও তেমনি বলতে পারি,
রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভিতর দিয়ে যদি রবীন্দ্র-জগৎটিকে দেখি তবেই সে জগৎটিকে
সমগ্রভাবে দেখা যাবে, চেনা যাবে। কেননা ওই সঙ্গীতের মধ্যে কাব্য তো রয়েছেই,
আছে যথেস্ট নাটকীয়তা, তা ছাড়া ওই গানের মধ্যেই পাওয়া যাবে মন্দিরের ভাষণ
এবং প্রবন্ধবলীল গভীর মননশীলতা। সৃজনশীল এবং মননশীল রবীন্দ্রনাথকে একাধারে
পেতে হলে আমাদের যেতে হবে গীতিবিতানের কূজন-মুখর উদ্যানে। সেখানে তিনি
নিজেকে যতখানি দিয়েছেন ততখানি আর কোথাও নয়। নিজেই বলেছেন, তোমাদের সুখের
দিনে, দুঃখের দিনে দিয়েছি রচি গান, ‘সে গানে মোর জড়ানো প্রীতি/সে গানে মোর
বহুক স্মৃতি/আর যা সব হোক্ অবসান।’ ‘তিনি নিজেই তাঁর সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ
আসন দিয়েছেন সঙ্গীতকে।
এত যে বিপুল পরিমাণে লিখেছেন বলেছেন, তাতেও কি
গোটা মানুষটাকে আমরা চিনতে পেরেছি? তাঁর বহুমুখী প্রতিভা এবং বর্ণাঢ্য
ব্যক্তিত্ব যতখানি আমাদের চোখে ধরা দিয়েছে, ততখানি আমাদের মনশ্চক্ষে ধরা
দেয়নি। মানুষের মন বড় দুর্গম স্থান। মনের অন্তস্থলে মর্মস্থলে গিয়ে পৌঁছনো
বড় দুসাধ্য ব্যাপার। মনের গভীরতম কথা, গভীরতম চিন্তা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই
থেকে যায়। শেক্সপীয়র নিজের সম্পর্কে কোন কথাই বলেননি। তাঁর জীবন সকলের কাছে
এক মহা রহস্য। ম্যাথু আর্নল্ড শেক্সপীয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তুমি দু
চোখ মেলে কি দেখেছিল, কি দেখে কি ভেবেছিলেন, কি ভেবে কি বলেছিলে, তুমি
দু’চোখ মেলে কি দেখেছিলে, কি দেখে কি ভেবেছিলে, কি ভেবে কি বলেছিলে, তুমি
দু’চোখ মেলে কি দেখেছিলেন, কি দেখে কি ভেবেছিলে, কি ভেবে কি বলেছিলে, আমরা
তার কূল পাই না। যতই ভাবি ততই অভিভূত হই। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অতখানি বলা
চলে না। তিনি কখনই আত্মগোপন করেননি। কি ভেবে কি করছেন সে কথা সর্বদাই খুলে
বলেছেন। কাজেই তিনি বোধের অগম্য নন, তবে খুব সহজবোধ্য নন, এ কথা স্বীকার
করতে হবে। দুর্বোধ্য এই কারণেে য রচনাবলীর গহন অরণ্যে পাঠক একটু দিশেহারা
বোধ করে।
রবীন্দ্রসংগীতের ভিতর দিয়ে রবীন্দ্রজগতের দিকে একটু দৃষ্টিপাত
করা গেল। অবশ্য এ কথা কেউ যেন না ভাবেন যে, রবীন্দ্রসংগীতের বাইরে
রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মননশীল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব কোথাও ঢাকা
থাকে না। তিনি স্বপ্রকাশ। অগণিত প্রবন্ধে, মন্দিরের ভাষণে, চিঠিপত্রে তো
বটেই, এমন কি গল্পে উপন্যাসে নাটকেও তাঁর ব্যক্তিত্ব সুপরিস্ফুট। এ সবের
মধ্যে রবীন্দ্রনাথের অধ্যাত্মচিন্তা, সমাজচিন্তা, স্বদেশচিন্তা, শিক্ষা
সংস্কৃতি সাহিত্য চিন্তা সমস্তই সমভাবে বিদ্যমান। তবে এ কথা বলব যে,
রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে রবীন্দ্রজীবনদর্শন যতখানি কেন্দ্রীভূত হয়ে ধরা
দিয়েছে এমন আর কোথাও নয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে গীতবিতানই রবীন্দ্র
জীবনদর্শনের সর্বশ্রেষ্ঠ রেফারেন্স টীকা গ্রন্থ।