Published : Saturday, 7 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 07.05.2022 12:54:03 AM

তানভীর দিপু:
করোনা
মহামারির ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে দুই বছর পর কোন বিধি নিষেধ ছাড়াই
কুমিল্লা কেন্দ্রিয় ঈদগাহে ঈদ উল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হলো। মুসলমানদেও
সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের এই নামাজের জামাত কুমিল্লা ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ
জামাত বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকে। অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এই এবারের ঈদ উল
ফিতরের জামাতে অংশ নেয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর কোন
নিষেধাজ্ঞা ছাড়া ঈদ উদযাপন করতে পেরে খুশির আমেজ ছড়িয়ে ছিলো কুমিল্লাবাসীর
মাঝে। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদগাহ মাঠে জামাতের সময় বেঁধে দেয়া থাকলেও এক দেড়
ঘন্টা আগে থেকেই মাঠে আসতে থাকে মানুষ। কয়েক প্রজন্মের মুসল্লিরা কাঁেধে
কাঁধ মিলিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এবছর কুমিল্লা জেলার ১৭ উপজেলার
১৫হাজার ৩শটি মসজিদের মধ্যে প্রায় ৮শ মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
হয়েছে। নগরীসহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে রমজানে ৩০ টি রোজা রাখার পর এই
ঈদ যেন বাঁধ ভেঙ্গেছে সকল হতাশা-গ্লানি আর নিস্তব্ধতার। শেষ কয়েকদিনে
উৎসবমুখর কেনাকাটা শেষে নতুন পোষাকে ঈদের জামাতে দেখা গেছে রঙিন এক
কুমিল্লাকে। নামাজ শেষে মোনাজাতে সবাই দেশ ও জাতির আরো সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে কুমিল্লাবাসী ফরিয়াদ করেন- সকল
মহামারি ও দুর্যোগ থেকে যেন রক্ষা পায় এই দেশ তথা সারা পৃথিবী। কুমিল্লার
মোগলটুলীতে কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ পড়ান কান্দিরপাড় কেন্দ্রিয়
জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। নামাজের আগে
কুমিল্লাবাসীর উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
মোঃ মনিরুল হক সাক্কু ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

সবাইকে
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্যে এমপি বাহার বলেন, কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে
যেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কুমিল্লার জন্য অকাতরে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০৪১ সালের বাংলাদেশের বিনির্মানে
নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ
থাকতে হবে।
ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
একে অপরের সাথে বুক মিলিয়ে ভ্রাতৃত্বেও বন্ধন যে জোরালো সেদৃশ্য ফুটে ওঠে
পুরো ঈদগাহ এলাকাজুড়ে। শিশু থেকে শুরু করে প্রবীন নাগরিকরা সবাই খুশি মনে
বাড়ি ফেরেন ঈদের জামাত শেষে।
এদিকে ঈদের দিন কুমিল্লার বিনোদন
কেন্দ্রগুলো ছিলো লোকে লোকারণ্য। ধর্মসাগর পৌর পার্ক থেকে শুরু করে কোটবাড়ি
শালবন বিহার- ম্যাজিক প্যারাডাইজ সকল সরকারি বেসরকারি বিনোদন
কেন্দ্রগুলোতে ছিলো মানুষের ভিড়। ঈদের ছুটিতে গতকাল শুক্রবারও এসব পর্যটন
স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।