
টুইটারের অস্থায়ী সিইও হতে পারেন নয়া মালিক ইলন মাস্ক। ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টেকওভারের পর প্রথম বড় রদবদল হতে চলেছে এটি। এর পরপরই টুইটারের সিইও পারাগ আগরাওয়ালের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যিনি গত নভেম্বরে ওই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। খবর রয়টার্স
বর্তমানে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহীর পদে আছেন মাস্ক। এ ছাড়া দ্য বোরিং কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের।
ভেতরের খবর জানেন এমন একজনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, অধিগ্রহণ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর মাস্ক নিজেই এ মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের অন্তর্র্বতীকালীন প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন। বৃহস্পতিবার সিএনবিসিও একই খবর জানিয়েছিল।
তবে ইলন টুইটারের সিইও হওয়ার খবরে মোটেও খুশি নন টেসলার বিনিয়োগকারীরা। বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ার ৮ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, টুইটারের মাস্ক বেশি সময় দিলে, টেসলায় তার মনোযোগ কমে যেতে পারে। অন্যদিকে, টুইটারের শেয়ার ইলনের সিইও হওয়ার খবরে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে গেছে এক ধাক্কায়।
শেয়ার বাজারে টুইটারের শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ বেড়ে ৫০ ডলার ৮৯ সেন্টে পৌঁছেছে। টুইটারের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ৫৪ ডলার ২০ সেন্ট করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন মাস্ক।
৯ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনার পর প্রথম অবস্থায় টুইটারের পরিচালনা পর্ষদে বসার কথা ছিল মাস্কের। শেষ মুহূর্তে পরিচালকের পদ নাকচ করে দেন টেসলা প্রধান। পরে পুরো প্রতিষ্ঠানই কিনে নেয়ার প্রস্তাব করেন।
অধিগ্রহণ চুক্তি সম্পন্ন করা থেকে পিছু হটলে টুইটারকে একশ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মাস্কের। এ ছাড়া চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে টুইটার।