দেশেই তৈরি হলো বিপিএল ট্রফি, মূল্য সাড়ে চার লাখ টাকা!
Published : Friday, 18 February, 2022 at 12:00 AM
কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্স নাকি ফরচুন বরিশাল, কে জিতবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা?
বিজয়ী যে-ই হোক, বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে উঠছে সাড়ে চার লাখ টাকার
ট্রফি। আগেরবার ইংল্যান্ড থেকে ট্রফি আনা হলেও এবারের বিশেষত্ব এটি স্থানীয়
ভাবেই বানানো হয়েছে। তাতে কমে গেছে খরচও। বিপিএলের সপ্তম আসরে ২০ লাখ
টাকার মতো খরচ হয়েছিল। কিন্তু এবার দেশে বানানোতে সোনালি রঙের এই ট্রফিতে
খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা! বিসিবি সূত্রেই জানা গেছে এমন তথ্য।
বাংলাদেশ
প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে
৫টায় মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজ দুই দলের
অধিনায়ককে নিয়ে ফটো সেশন করার কথা থাকলেও সাকিব আল হাসান অনুপস্থিত থাকায়
তা পূর্ণতা পায়নি! ফাইনালের আগে দেশে বানানো সোনালি রঙের ট্রফি উন্মোচন
করেছেন নুরুল হাসান সোহান ও ইমরুল কায়েস।
অথচ আগের সাত আসরে ট্রফি আনা
হয়েছিল সুদূর ইংল্যান্ড থেকে। লন্ডনের বিখ্যাত ‘ইংকারম্যান’ বিপিএলের আগের
আসরগুলোর ট্রফি তৈরি করেছে। ইংল্যান্ডের প্রসিদ্ধ কোম্পানিটির ইংলিশ লিগের
শিরোপা প্রস্তুতেরও গৌরব রয়েছে। গত বছর তাদের কাছ থেকে এই বিপিএলের ট্রফি
তৈরি, আনা, ট্যাক্সসহ মোট খরচ হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা।
বিসিবি এক
কর্মকর্তা ট্রফির দামের ব্যাপারে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এবার ট্রফি
তৈরিতে বিসিবির খরচ কমেছে। ২০১৯ বিপিএলের ট্রফি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১৫-১৬
লাখ টাকা। এবার বাংলাদেশে তৈরি হওয়ায় ব্যয় কমেছে বেশ। সাড়ে চার লাখ টাকায়
এবারের ট্রফি তৈরি করা হয়েছে। ট্রফির গর্জিয়াস ভাবটা ধরে রাখার জন্য
গোল্ডপ্লেটিং করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের টেকনোলজিতে সবচেয়ে সেরা ট্রফিটা
বানানোর চেষ্টা করেছি। ’
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের
(ইসিবি) পরামর্শে তাদেরকে ট্রফি তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। এবারও একই
পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। দেশীয়
শীর্ষ একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এবারের ট্রফিটি তৈরি করা হয়েছে। আগের নকশা
অক্ষুণ্ন থাকলেও তাতে রাখা হয়েছে গোল্ড প্লেটিং।
নাম প্রকাশ না করার
শর্তে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সব সময় আমরা লন্ডনের বিখ্যাত
‘ইংকারম্যান’ থেকেই অর্ডার করি। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থতিসহ বেশ কিছু
কারণে স্থানীয় ভাবে ট্রফি বানিয়েছি। ট্রফি অর্ডারের সময় চিন্তা করেছিলাম,
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সবগুলো দলকে নিয়ে একটা ফটোসেশন করবো। এই কারণে তখন
ইংল্যান্ডে অর্ডার দেইনি, কেননা ওরা তখন জানিয়েছিল ঠিক সময়ে ট্রফি সরবরাহ
করতে পারবে না। তাই আমরা স্থানীয়ভাবেই বানানোর সিদ্ধান্ত নেই।’
খরচ
কমলেও মানের দিকে থেকে ট্রফিটা বেশ উন্নত। বিসিবিও ট্রফি দেখে সন্তুষ্ট। ওই
কর্মকর্তা বলেছেন, ‘স্থানীয় ভাবে বানানো হয়েছে এর চেয়ে ভালো হয়তো সম্ভব
না। আমরা ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট। দেশের বাইরে অন্য অনেক টেকনোলজি থাকে,
আমাদের যে সকল রিসোর্স আছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ভালো একটা ট্রফি
বানানোর চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের সেরা একটি কোম্পানির কথা বললেও সেটি
কোন কোম্পানি, তার নাম জানাননি বিসিবির এই কর্মকর্তা, ‘আমরা নামটা বলতে
চাইছি না। ওরা স্থানীয় ভাবেও দামটা একটু বেশিই রেখেছে। নামটা বলে দিলে অন্য
যারা এই মার্কেটে স্ট্রাগল করছে, তাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে।’