ছেলেরা পারলে, মেয়েরা পারবে না কেন?
Published : Wednesday, 16 February, 2022 at 12:00 AM
ইসরাত জাহান মিথিলা এখনো পড়াশুনা করছেন। স্কুটার চালিয়ে প্রায়ই স্কুলে যান। প্রাইভেট-কোচিংয়ে যেতে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছেন স্কুটার। বাবা বাইক চালান, বড় বোনও চালাতে পারেন মোটর সাইকেল। তাদের দেখেই মিথিলার ইচ্ছা বাইক চালানোর। বড় বোনের কাছ থেকেই স্কুটার চালানোর হাতেখড়ি। প্রশিক্ষণ নিয়ে স্কুটার চালানো শেখার পর পরিবারের সবাই এবং স্কুলের শিক্ষকরাও এখন সাপোর্ট করে তাকে। তবে, এত কম বয়সে স্কুটার চালানো শেখা নিয়ে উচ্ছসিত মিথিলা। তার ইচ্ছা এসএসসি শেষ করার পর নিজের জন্য এটি নতুন স্কুটার কিনবেন, আইন মেনে স্কুটারের লাইসেন্স করেই করবেন বাইকিং। ছেলেরা যদি বাইক চালিয়ে স্কুল কলেজ অফিস করতে পারে তাহলে মেয়েরা কেন পারবে না- প্রশিক্ষণ নিয়ে ট্রাফিক আইন মেনে বাইকিং করলে এটা খুব সহজ এবং উপভোগ্য বিষয় বলেই মনে করেন। পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মিথিলা।
ইসরাত জাহান মিথিলা জানান, ইজিবাইক বা সিএনজিতে শেয়ার করে চলাচলে অনেক সময়ই বখাটেদের উৎপাত সহ্য করতে হয়। কিন্তু স্কুটার ব্যবহার করলে এখন আর সেটা পোহাতে হয় না। তবে বাইক নিয়ে রাস্তায় নামলে এখন যে সমস্যা হয়- অনেক সময় অনেক ছেলে বাজে কথা বলে। রিকশা বা অটোরিকশা চালকরা ইচ্ছা করেই এসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এগুলো খুবই বিরক্তকর। কুমিল্লা শহরে দিন দিন রিকশা গাড়ি বাড়ছে। শহরের রাস্তায় সব সময়ই যানজট থাকে। বিভিন্ন জায়গায় আসা যাওয়া করতে অতিরিক্ত সময় লাগে। রিকশা - ইজিবাইকে অনেক্ষণ ধরে বসে থাকতে হয়। কিন্তু স্কুটারে থাকলে সেটা হয় না। বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে সহজে চলাচল করা যায়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও উচিত স্কুটার চালানো শিখে ফেলা। তাহলে সময়ের সঠিক ব্যবহার করা যাবে।
তিনি জানান, সবাইকে সঠিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বাইক চালানোর সকল নিয়ম কানুন আগে জানতে হবে। এছাড়া রাস্তায় বের হলে আগে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। বাইকিংয়ের আগে হলো নিজের নিরাপত্তা।
মিথিলার ইচ্ছা নিজের স্কুটার কেনার পর দেশ ভ্রমন।