বাংলাদেশ ২৭ রানে হারাল ৫ উইকেট, যার মধ্যে তিনটিই ট্রেন্ট বোল্টের। চা বিরতির পর নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে আসা বল বাঁক খেয়ে ভাঙল মেহেদী হাসান মিরাজের স্টাম্প। তারপর গ্যালারি থেকে হর্ষধ্বনি, সতীর্থদের সঙ্গে হাই ফাইভ শেষে দুজন ‘বিশেষ ব্যক্তি’ জড়িয়ে ধরলেন। এই বিশেষ উদযাপনের কারণ, এটি ছিল বোল্টের ৩০০তম টেস্ট উইকেট।
তার আগে সবশেষ এই মাইলফলক ছোঁয়া টিম সাউদি ছিলেন তখন মাঠেই। প্রথমে তিনি জড়িয়ে ধরলেন বোল্টকে। তারপর রস টেলর এলেন আলিঙ্গন করতে, যিনি খেলছেন বিদায়ী টেস্ট। বোল্টের ৩০০ উইকেট নেওয়ার পেছনে কমবেশি অবদান রেখেছেন টেলরও, স্লিপে ১৯ ক্যাচ ধরে। দর্শক সারি থেকে তখনো শেষ হয়নি হাততালি পর্ব। সতীর্থদের মাঝে থাকা বোল্টকে বলটি তুলে দিলেন আম্পায়ার, কিছুক্ষণ তা ধরে রাখলেন। পঞ্চম বাঁহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে তিনশ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার পর শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে নবমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের ৫২১ রানের জবাবে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দিনের খেলা শেষে বোল্ট বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে এটা আমার কাছে অনেক কিছু। আমি জানি, আগামীতে এটির অংশীদার আরো কেউ হবে। কিছুটা কঠোর পরিশ্রম, ফিটনেস ও গর্বিত পারফরম্যান্সের ফসল।’
চতুর্থ নিউ জিল্যান্ডের হিসেবে এই কীর্তি গড়ে সাউদি, ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও স্যার রিচার্ড হ্যাডলির পাশে নাম লিখলেন বোল্ট, তাতে গর্বিত, ‘বিকালের এই মুহূর্তে টিমিকে (সাউদি) আমার সঙ্গে পাওয়া খুব বিশেষ কিছু। ড্যানিয়েল (ভেট্টরি) ও স্যার রিচার্ডের (হ্যাডলি) মতো নামের পাশে যোগ দেওয়াও খুব বিশেষ। টেস্ট ম্যাচ জেতা ও সিরিজে ফেরা হবে আরো বিশেষ। এই মুহূর্তে আমার নজর সেদিকেই।’
অনূধ্র্ব-১৭ দল থেকে একসঙ্গে মাঠে লড়ছেন সাউদি ও বোল্ট। তার সামনেই তার পাশে বসে পুলকিত বাঁহাতি পেসার, ‘সেও আমাকে নিয়ে খুব গর্বিত। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে দারুণ লাগছে। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে আরো কয়েক বছর উইকেট নিতে পারব। আমাদের বন্ধুত্ব অনেক বছরের পুরোনো। অনূধ্র্ব-১৭ দলের হয়ে আমাদের দেখা হয়েছিল। ব্ল্যাক ক্যাপের অধীনে আমাদের ক্যারিয়ার সম্ভবত ১০ বছরের বেশি, আমি তার কাছ থেকে শিখছিও।’