Published : Saturday, 11 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.12.2021 12:31:03 AM

তানভীর দিপু ||
কুমিল্লায়
করোনা টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন মোট জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ মানুষ। এর
মধ্যে ৩৪ শতাংশ মানুষ অন্তত এক ডোজ ভ্যোকসিনের আওতায় এসেছে বলে কুমিল্লা
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। কুমিল্লা জেলায় বর্তমানে জনসংখ্যা ৬৪
লক্ষ ৬৩ হাজার। এছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার মোট জনসংখ্যার ৬৩
শতাংশ মানুষ এক ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং ৪৯ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
তবে এই সংখ্যায় খুশি নন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা কুমিল্লার ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে।
তারা যত তাড়াতাড়ি রেজিষ্ট্রেশন করবেন আমরা তত তাড়াতাড়ি তাদের টিকার দিতে
পারবো। আমাদের আহ্বান টিকা নেবার উপযোগী সবাই রেজিষ্ট্রেশন করুন এবং দ্রুত
সম্ভব টিকা গ্রহন করুন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লার মোট জনসংখ্যা ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৩৫ জন। সুরক্ষা এ্যাপ্সের মাধ্যমে
এপর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৪ জন। গত ফেব্রুয়ারি
মাসের ৯ তারিখ থেকে কোভিশিল্ডের টিকা দানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় করোনা টিকা
কার্যক্রম। ডিসেম্বরের ৮ তারিখ পর্যন্ত কুমিল্লায় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন
২১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৬২
জন। এছাড়া শুধু কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের জনসংখ্যা ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৬
জন। এর মধ্যে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৩ জন। সিটির ৫৫
শতাংশ মানুষ টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।
অন্যদিকে উপজেলা গুলোর
মধ্যে সবচেয়ে কম ২৮ শতাংশ মানুষ টিকার রেজিষ্ট্রেশন করেছেন দেবিদ্বারে।
প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন উপজেলাটির মাত্র ২৪ শতাংশ মানুষ।
দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মদ কবীর জানান, দেবিদ্বারে টিকাদানে
কোন জটিলতা নাই। আর দেবিদ্বারে রেজিষ্ট্রেশনের হার কম দেখানোর মূল কারন
হচ্ছে দেবিদ্বারের অনেক মানুষ পার্শ্ববর্তী উপজেলা চান্দিনা, মুরাদনগর ও
ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ঠিকানা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে টিকা নিয়েছেন। অন্যদিকে
গণটিকা কার্যক্রমের সময় কিছু নিবন্ধন জটিলতার কারনে দেবিদ্বারে কম
রেজিষ্ট্রেশন দেখা যাচ্ছে। মাঝখানে বেশ কয়েকদিন রেজিষ্ট্রেণ বন্ধও ছিলো,
সেসময় যারা টিকা নিয়েছেন তারা অন্যান্য ঠিকানা দিয়ে টিকা নিয়ে নিয়েছেন।
কুমিল্লা
জেলায় বরুড়া উপজেলায় টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩৭ শতাংশ, ব্রাহ্মণপাড়ায়
৩৬ শতাংশ, বুড়িচং ৩৩ শতাংশ, চান্দিনা ৩৫ শতাংশ, চৌদ্দগ্রাম ৩৩ শতাংশ, সদর
৪৬ শতাংশ, সদর দক্ষিণ ৩৬ শতাংশ, দাউদকান্দি ৩৯ শতাংশ, দেবিদ্বার ২৮ শতাংশ,
হোমনা ৩৭ শতাংশ, লাকসাম ৩৬ শতাংশ, মেঘনা ৪৩ শতাংশ, মনোহরগঞ্জ ৩১ শতাংশ,
মুরাদনগর ৩১ শতাংশ, নাঙ্গলকোট ৩৬ শতাংশ ও তিতাসে ৩৭ শতাংশ মানুষ করোনা
টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।