ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ দেবীদ্বার উপজেলা শাখার উদ্যোগে মুক্তদিবস পালিত
Published : Sunday, 5 December, 2021 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
দেবীদ্বারে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মুক্তদিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার ধামতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বার হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ দেবীদ্বার উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ধামতী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিক ও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মোঃ রমিজ উদ্দিন, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, আ’লীগ নেতা সৈয়দ মোঃ জসীম উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র সাবেক ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জামান আউয়াল, ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আবু তালেব, ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী খান, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ দেবীদ্বার উপজেরা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেবীদ্বার বাসীর অবদান অবিশ^রণীয়, বাংলাদেশে মুক্তিদ্ধের তালিকায় প্রথম চট্টগ্রামের মিরেরসরাই এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা দেবীদ্বার। এছাড়াও শুধুমাত্র ধামতী গ্রামে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে ১৩৩জন।
তাই মহান মুক্তিুদ্ধে পাক হায়ানাদের নজর এড়াতে পারেনি এ গ্রামটি। বিজয়ের মাত্র কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর ধামতী ও ভূষণা গ্রামকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ ঘাটি হিসাবে চিহ্নীত করে পাক হায়ানাদের একটি বিশাল বাহিনী হামলা চালায়। ধামতী গ্রামের বিখ্যাত চৌধূরী বাড়িসহ নব্বইটি বাড়ি, ভূষণা গ্রামের ষোলটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় পাক হায়ানারা। ভূষণা গ্রামের ছয় নিরিহ বাঙ্গালী ও ধামতী আলীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় পীর আজিমউদ্দিন সাহেবের নাতি শরিফুল্লাহ, অধ্যক্ষ হালিম হুজুরের দু’ভাগ্নে জহুর আলী ও আব্দুল বারি, সহোদর তাজুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে তাদের স্বজনদের সামনে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। সে নির্মমতার দৃশ্য এখনো আমাদের অশ্রুসিক্ত করে।
সন্ধ্যা নাগাদ পরিচালিত যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ শুনতে বিপুল জনসমাবেশের মধ্যে নতুন প্রজন্মের একটি বিরাট অংশের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।