ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চান্দিনায় বসত ঘরের ভিটি খুঁড়তেই বের হলো ১৯ বিষধর সাপ!
রণবীর ঘোষ কিংকর।
Published : Thursday, 25 November, 2021 at 8:57 PM
চান্দিনায় বসত ঘরের ভিটি খুঁড়তেই বের হলো ১৯ বিষধর সাপ! কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামের যুবক কৃষক সারোয়ার হোসেন। দারিদ্রতার যাঁতাকলে দিন মজুরীতে সামান্য কৃষি কাজ করে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করাই খুব কষ্টের। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ভাঙ্গা ঘরেই ছিল বসবাস। 
অবশেষে পাশ্ববর্তী ছয়ঘড়িয়া গ্রামের ‘মোর্শেদ জনকল্যাণ ট্রাস্ট’ থেকে তাকে একটি গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়। সারাদিন মুজুরী দিয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে নিজের কাঁচা ভিটির টিনের ঘরের বিছানায় শান্তির ঘুম নামে তার চোখ জুড়ে। বিধিবাম! হঠাৎ সাপ আতংকে শান্তির ঘুম তার হারাম হওয়ার উপক্রম তার। 
কয়েকদিন পূর্বে তার বসত ঘরের পিছনে সাপের বাচ্চা দেখে পাশ্ববর্তী বাড়ির রাফি নামের এক শিশু। পরদিন একই স্থানে তার ঘরের কাঁচা ভিটির ইদুরের গর্ত থেকে আবার সাপের বাচ্চা বের হতে দেখে অপর একজন। বিষয়টি জানাজানি হলে সারোয়ারের পরিবারে শুরু হয় সাত আতংক। 
বৃহস্পতিবার সকাল সারোয়ার লোকজন নিয়ে নিজের বসত ঘরের ভিটির ওই ইদুরের গর্তে চোখ রাখতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর আবারও সাপের বাঁচ্চা বের হতে দেখেন। শুরু হয় অভিযান, ইদুরের ওই গর্তর মুখ থেকে বসত ভিটির মাটি খুঁড়তে শুরু করেন সারোয়ার। অবশেষে একে একে ১৯টি বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা ও ১৩ ডিমের খোসা বের করে আনেন তিনি। প্রতিটি সাপের বাঁচ্চার দীর্ঘ অন্তত দেড় ফুট। এ ঘটনায় এলাকার শতশত লোকজন ভীড় জমায় সারোয়ার এর বাড়িতে। 
সারোয়ার জানায়, কয়েকদিন যাবৎ আমার ঘরের পিছনে সাপের বাচ্চাগুলো দেখার পর আমার ছেলে-মেয়েরা ভয়ে ঘুরে ঢুকতে চায়নি। আমরাও বেশ আতংকে ছিলাম। বাচ্চগুলো উদ্ধার করে মারা হয়েছে। কিন্তু বড়সাপ গুলো দেখা যায়নি।