ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ
Published : Tuesday, 23 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.11.2021 1:31:48 AM
এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগনিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র সৈয়দ মোঃ সোহেল ও শ্রমিক লীগ নেতা হরিপদ সাহার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উত্তেজিত লোকজন বেশকিছু দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। এর মধ্যে বৌ বাজারের ১০/১৫টি দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এসময় আতঙ্কে লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। ঘটনার পর সুজানগর পাথুরিয়াপাড়া, বউ বাজার, সংরাইশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষ পাথরিয়াপাড়া সড়কে বিক্ষোভ করছেন। র‌্যাব ও পুলিশ ক্ষুব্ধ জনতাকে সরানোর চেষ্টা করছে। কাউন্সিলর কার্যালয়ের ভেতরে সোহেলের বসার স্থানে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। কার্যালয়ের চেয়ার ভাঙা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল ২২ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বউবাজার এলাকায় গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ আরো কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। রাত সাড়ে ৭টায় কাউন্সিলর নিহতের খবর ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত জনতা রাত ৮টার দিকে ১৬নং ওয়ার্ড এলাকার কয়েকটি ঘরে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় প্রায় ২৫/৩০টি পরিবারের ঘর ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় সুনশান পরিবেশ বিরাজ করছে।
কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা সুজানগর পূর্বপাড়ার কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যকে জানিয়েছেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। খুব শীঘ্রই হত্যাকারীদের ধরা হবে।