ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৯০টি পয়েন্টে বসছে সিসি ক্যামেরা
যানজট ও অপরাধ নিরসনে খুবই কার্যকরি পদক্ষেপ: হাইওয়ে পুলিশ
Published : Thursday, 7 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.10.2021 1:14:26 AM
 ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৯০টি পয়েন্টে বসছে সিসি ক্যামেরাতানভীর দিপু:
বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়নগঞ্জ বিশ্বরোড থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেইট পর্যন্ত আড়াই শ’ কিলোমিটার সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনছে হাইওয়ে পুলিশ। মহাসড়কের এই এলাকাটিতে ৪ শ ৯০টি পয়েন্টে দেড় হাজারের উপর সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পূর্বাঞ্চল কুমিল্লার পুলিশ সুপার মুহম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি জানান, হাইওয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সুদীর্ঘ এই মহাসড়কে যানজট ও অপরাধ নিরসনে এই সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ খুবই কার্যকরি হবে। এই সুফল পাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাথে চলাচলকারী সকল পরিবহন ও যাত্রীরা।
হাইওয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়, হাইওয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়, মেঘনা, দাউদকান্দি ও চট্টগ্রামে ৫টি পয়েন্ট বসানো হবে এসব সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোলরুম। হাইওয়ে পুলিশের প্রধানরা সরাসরি এই সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও দাউদকান্দি টোলপ্লাজা অতিক্রম করে প্রতিদিন গড়ে ৩২ হাজার পরিবহন চলাচল করে। এছাড়াও মহাসড়কটিতে জেলা পর্যায়ে এই দুই সেতুর মধ্যবর্তী অঞ্চলে চলাচল করে অন্তত আরো ১৫ হাজার যানবাহন। সাধারণ যাত্রী পরিবহন ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে হাজারো পণ্যবাহী যানবাহন এই সড়কে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছে। যে কারণে দীর্ঘ দিন আগে থেকেই মহাসড়কে যে কোন অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত মহাসড়ক পর্যবেক্ষনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে আসছিলো হাইওয়ে পুলিশসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলো। মহাসড়কে পরিবহনে ডাকাতি, ছিনতাই, লুটতরাজসহ অন্যান্য সকল অপরাধ রোধে সিসি ক্যামেরা কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে যানজট রোধেও কাজ করবে এই সিসি ক্যামেরা। নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে সব সময়ই যানজটসহ যানবাহনের ধীরগতি তৈরী হয়। প্রতিটি জনবহুল এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলে সহজেই জানা যাবে কোথাও কোন যানজট লেগেছে কি না -সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জনবহুল এবং গুরুত্বের ভিত্তিতে এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে। এই ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও পুলিশকে সমন্বিত ভাবে দ্রুত কাজ শুরু করবে।