Published : Sunday, 3 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.10.2021 1:03:01 AM

ইসমাইল নয়ন।। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকুই এলাকায় প্রসাশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ফসলি জমি ও জলাশয় থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। অভিযোগ আছে ওই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির ও তার সহযোগিরা ফসলি জমি ও জলাশয় থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে সেগুলো বিক্রি করছেন। অতিরিক্ত মাটি উত্তোলনে নষ্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি।
এ ব্যপারে স্থানীয়রা জানান, গতবছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে নগদ অর্থ জরিমানা করলেও সে আবার একই জায়গায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে তৈরি হচ্ছে বিশাল আকাড়ের গর্ত। যার কারণে আশেপাশের জমি ভাঙতে শুরু করেছে।
এব্যাপারে টাকুই গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূইয়া জানান, ক্ষতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন ভূইয়া ও তাদের সহযোগিরা আমার ১৫শতক জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে। একই এলাকার নোয়াব মিয়ার ছেলে শামীম, আলামিন ও ময়নাল মিয়ার জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির , আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, বাবুল হোসেন ভূইয়া ও তাদের সহযোগিরা অবৈধ ড্রেজারে ফসলি জমি ও জলাশয় খুঁড়ে মাটি উত্তোলন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানায়, হুমায়ুন কবির ও তার সহযোগিরা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজারে অবৈধভাবে এই মাটি উত্তোলন করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
এব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আসমা জানান, অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরিমানাসহ বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করেছি। এই অভিযান চলমান রয়েছে। টাকুই এলাকার বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ ড্রেজার পরিচালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।