দেশে
গত এক দিনে আরও ১ হাজার ৯৭০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে,
আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩০ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে
মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৮৬৯ জন।
রোববার ১ হাজার ৬৭৬ রোগী শনাক্ত এবং ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি
হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৯১৮ জন সুস্থ হয়ে
উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে
যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭
হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত
বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ
বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের
মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩৭ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১০টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৬৬৬টি
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৪২টি
নমুনা।
সোমবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত
এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৯ জন পুরুষ আর নারী ১১ জন। তাদের ১৭ জন
সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা যান।
তাদের
মধ্যে ২২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,
৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের
মধ্যে ৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের,
৩ জন খুলনা বিভাগের, ৪ জন সিলেট বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন
ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৮৬৯ জনের মধ্যে ৯ হাজার ২৭৫ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫৯৪ জন নারী।