সৌরভ মাহমুদ হারুন /ইসমাইল নয়ন ||
তরুণ যুব সমাজই পারে দেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তারুণ্যই শক্তি একই কাথাটি বুকে ধারন করে আগামী দিনগুলোতে কুমিল্লা- ৫(বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের জনগনের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। এ কথাগুলো বলেছেন কুমিল্লা- ৫ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী দিদার মোঃ নিজামুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা ছিলো তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তরুণ ও যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তরুণ ও যুবসমাজের নেতৃত্বে কুমিল্লা-৫ আরো উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হবে। আগামী দিনগুলোতে কুমিল্লা- ৫ আসনের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তিনি।  মঙ্গলবার ও বুধবার  সন্ধ্যায় কুমিল্লা ও বুড়িচং উপজেলার  রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সভায় এসকল কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০০৪ সালে শশীদল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ, ঢাকা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে ২০০৬ সালে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি প্রবল ভালোলাগার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রথম দিন থেকেই শিক্ষা, শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি।
২০০৭ সালে তৎকালীন বিএনপি জামাত সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্র বন্ধুদের ক্যাম্পাসে সু-সংগঠিত করার মাধ্যমে ছাত্রলীগের পতাকা তলে সকল মুজিব প্রেমী, অকুতোভয় মুজিব সেনাদের একত্রিত করে সক্রিয় ভাবে কাজ করি।
২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার এর নামে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্র শিবিরের নাশকতা কঠোর ভাবে প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামাত জোটের দ্বারা পেট্রোল বোমা ও জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন প্রতিহত করতে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার  নির্দেশে সক্রিয় ভাবে রাজপথে থেকে অংশ্রগ্রহণ করি।
দিদার মোঃ নিজামুল ইসলাম ২০১০-১২ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় সলিমুল্লাহ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১২-১৩ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় সলিমুল্লাহ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
দিদার মোঃ নিজামুল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মানরা গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোসা. শাহেনা বেগমের ছেলে।
তাঁর পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম ২০০২ সাল থেকে অদ্যাবধি শশীদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে কুমিল্লা- ৫ আসনের মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে চাই। কুমিল্লা-৫ আসনে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবে আমি তাঁর সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই।
আমি আশাবাদী নেত্রী কুমিল্লা-৫ আসনের নেতৃত্বের জন্য তরুন ও মেধাবীদের মুল্যায়ন করবে।