ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
'ঘুষের টাকা'সহ সাব-রেজিস্ট্রার ও মোহরার ধরা
Published : Saturday, 3 April, 2021 at 12:00 AM
ঘুষের টাকা উদ্ধারে কক্সবাজারের চকরিয়া সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি অভিযানিক দল। এ সময় দুদক দলটি ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকাসহ সাব রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান ও মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযান চলাকালে পালিয়ে যায় সহকারী শ্যামল বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযান চলে রাত তিনটা পর্যন্ত। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্যরা সাদা পোশাকে অফিসে ঘুষ লেনদেনের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা অভিযানের সময় অভিযোগকারী সেবাগ্রহীতাকে সঙ্গে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের গ্রেপ্তার হওয়াদের কাছ থেকে দুদক টিম ৬ লাখ ৪২১০০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। কিন্তু তারা দুদকের কাছে উদ্ধার হওয়া টাকার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। দুদকের দাবি, এসব ঘুষের টাকা।
দুদক জানায়, অভিযানে অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া ও কর্মচারী দুর্জয় কান্তি পালের ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ার থেকে ঘুষ বা কমিশনের ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা ও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে নাহিদুজ্জামানের ব্যবহৃত রেকর্ড রুমের স্টিলের লকার থেকে উদ্ধার করা হয় ঘুষের ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা। তাছাড়া অভিযানে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতে লেখা ৪১টি স্লিপ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে দুদকের অভিযানের সময় কার্যালয়ের ভেতরের সিসি ক্যামেরা বন্ধ ও কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দাবি করেছেন, অভিযানের শুরুতে দুদক টিমের ৭-৮ জন সদস্য কার্যালয়ের ভেতর থাকা সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন এবং কয়েকজন কর্মকর্তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এতে ভেতর আটকা পড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাঠির আঘাত ও চড়-থাপ্পড় সহ্য করতে না পেরে শ্যামল বড়ুয়া ছাদে উঠে কৌশলে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিজেদের অপকর্ম ঢাকা দিতে অপরাধীরা সবসময় মিথ্যা কথা বলেন। এখানে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃতরা। এসব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।’
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য দুদক প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর পর অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই দুদক কার্যালয়ে মামলা হবে। শুক্রবার গ্রেপ্তার সাব রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান ও মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে আদালতে তোলা হবে।