ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ওজনের শিশু। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হলি ল্যাব হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। জন্ম নেওয়া ওই শিশুর নাম রাখা হয়েছে মুয়াজ।
অস্ত্রোপচার করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ফৌজিয়া আক্তার বলেন, এর আগে ২০০৭ সালে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ৬ কেজি ওজনের বাচ্চা জন্ম নিয়েছিল। আমার জানামতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌনে ছয় কেজি ওজনের শিশুটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওজনের জন্ম নেওয়া শিশু।
হলি ল্যাব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু কাউসার জানান, ‘দুই দিন আগে জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রাম থেকে এসে তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ ১০৩ নম্বর কক্ষে ভর্তি হন। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই মা ৫ কেজি ৭শ’ গ্রামের বেশি ওজনের একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেন। অস্বাভাবিক ওজনের শিশুর জন্মের খবর পেয়ে হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসকসহ উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
শিশুটির মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমি ও আমার শিশুটি সুস্থ আছি।
শিশুটির পিতা অরুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল বাশার জানান, এর আগে তার তিন সন্তান হয়েছে। এটি তার চতুর্থ সন্তান। তিনি জানান, আমার আগের শিশুগুলোর নরমাল ডেলিভারি হয়। ওই শিশুগুলোর স্বাস্থ্যও ভালো ছিল।
তিনি বলেন, নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমি খুবই খুশি। আমার পরিবার ‘ধন্য’ হয়েছে। ডা. ফৌজিয়া ম্যাডামের সহযোগিতায় সিজারের পর মা ও শিশু ভালো আছেন।
ডা. ফৌজিয়া আক্তার বলেন, বেশি ওজনের শিশু জন্মের বিষয়টিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ম্যাক্সোসোনিয়া’। মা-বাবার ডায়াবেটিস অথবা বেশি ওজন থাকলে ম্যাক্সোসোনিয়া শিশুর জন্ম হতে পারে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, এ ধরনের কোনও লক্ষণ শিশুর মা-বাবার নেই। এখন মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।