
পর্তুগালে বসবাস করতে হলে বিদেশি নাগরিকদের অস্থায়ী নাগরিকত্ব হিসেবে রেসিডেন্ট কার্ড প্রদান করা হয়। বর্তমানে প্রথম রেসিডেন্টের মেয়াদ দুই বছর এবং পরবর্তী নবায়নকৃত রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ ৩ বছর হয়ে থাকে।
যে সকল নাগরিকদের রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অনলাইন অটোমেটিক নবায়ন কার্যক্রম চালু করেছেন। যার ফলে ঘরে বসেই খুব সহজেই রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
সম্প্রতি পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (এসইএফ) এর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করা হয়। এতে বলা হয় ১লা এপ্রিল থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার রেসিডেন্ট কার্ড এর মেয়াদ শেষ হবে।
যারা ২৩ শে মার্চ থেকে অনলাইনে নবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া আগামী ৩১ শে মার্চ যে সকল ব্যক্তিদের রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে তা পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত ভ্যালিড হিসেবে গণ্য করা হবে।
এই রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন কার্যক্রম ইতোপূর্বে কিছুটা ঝামেলাপূর্ণ ছিলই বলা যায় কেননা এর জন্য একটি পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হত, মেয়াদ উত্তীর্ণের কাছাকাছি সময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া এবং হালনাগাদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করা ইত্যাদি।
তবে এখন বলতে গেলে তিনটি ক্লিকের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে পর্তুগালের একজন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ পর্তুগাল অভিবাসী বান্ধব দেশ এটি তার বড় প্রমাণ যে বর্তমানে একটি কঠিন সময়ে বাস্তবমুখী এবং কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ করাসহ অভিবাসীদের জীবনকে সহজ করার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (এস ইএফ)।
তিনি বলেন, এখানে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেননা বর্তমান মহামারির মাঝে রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন কার্যক্রম সহজ হওয়ার কারণে প্রবাসীরা বাংলাদেশে তদের প্রিয়জনের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
অন্যথায় অপেক্ষার পালাটা আরো বেশি লম্বা হত। তাছাড়া অনেকেরই জরুরি ভ্রমণ করতে হয়েছে অন্যথায় প্রবাসীদের দুর্দশার সীমা ছিল না। তাই এখানে বসবাসকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশিরা পর্তুগিজ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেছেন।