গ্রেফতার মেঘনার ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাসী বহিষ্কার হচ্ছেন
Published : Friday, 2 April, 2021 at 12:00 AM
মাসুদ আলম।। কুমিল্লায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক সরকার আব্বাসীকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে এই ইউপি চেয়ারম্যান বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন। বুধবার রাতে তাঁকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, গ্রেফতারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্বাসীকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খুন ও অস্ত্র মামলাসহ তার বিরুদ্ধে উঠা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকা-ের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক সরকার আব্বাসীকে বহিষ্কারের আবেদন জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান জানান, মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক সরকার আব্বাসীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের কোন আদেশ না আসলেও রবিবারের মধ্যে এমন একটি আদেশ আসতে পারে।
২০১৬ সালে সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে আব্বাসীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আব্বাসী বাহিনীর অত্যাচারে সপরিবার এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন সিরাজুল। আর গ্রামে আসেননি। চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত মাসে সপরিবার গ্রামে এসেছিলেন সিরাজুল। এ খবর পেয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আব্বাসী তাঁর বাহিনী নিয়ে সিরাজুল ইসলামের বড় ভাই আবদুস সালামের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় আব্বাসীর লোকজন নারী-পুরুষ যাকে যেখানে পেয়েছে, পিটিয়ে– কুপিয়ে জখম করেছে। ওই হামলায় নিহত হন সিরাজুলের ভাবি নাজমা বেগম। সিরাজুলের ভাই আবদুস সালামও গুরুতর আহত হন। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন আব্বাসী।
মেঘনা থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ফারুক সরকার আব্বাসীর উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার জেলা পুলিশের একাধিক দল যৌথ অভিযান চালিয়ে আব্বাসীকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, নাজমা বেগম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফারুক সরকার আব্বাসী, ছোট ভাই ইয়ার হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।