
ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে
তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা মাঠে ফিরলেও সালমা-জাহানারারা আছেন অপোতে। তবে
আগামী মার্চে বাংলাদেশ গেমস দিয়েই ২২ গজের লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ হচ্ছে
তাদের। এরপর মার্চের শেষ সপ্তাহে আসবে দণি আফ্রিকার ইমার্জিং দল। তাই
ক্রিকেটে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত সূচিতে থাকবেন জাহানারা আলমরা।
আপাতত
সেই ল্েযই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে অনুশীলন
করছে নারী ক্রিকেট দল। মাঠে ফেরার আগে এক মাসের এই ক্যাম্পে নিজেদের
প্রস্তুতি নিয়ে এরইমধ্যে সন্তুষ্টি ঝরেছে জাহানারা আলমের কণ্ঠে।
সিলেটে
তিন সপ্তাহের অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের পেসার জাহানারা সংবাদমাধ্যমকে
বলেছেন, ‘আমরা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে, খুব খুশি যে
ক্রিকেটে ফিরতে পারছি। আমরা এরইমধ্যে ক্যাম্পের মাঝে চারটি ওডিআই ম্যাচ
খেলেছি। দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আগামীতে আরও তিন-চারটা ম্যাচ খেলবো। তাই
সব মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো।’
দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরতে
পারায় তিনি আবার কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন বিসিবির কাছে, ‘প্রায় ১০ মাস পর
মাঠে ফেরার সুযোগ হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আন্তরিক
ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
করোনার দীর্ঘ বিরতি সাকিবদের পারফরম্যান্সে প্রভাব
ফেলতে পারেনি। ক্যারিবীয়দের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে
হারিয়েছে তারা। সাকিব-তামিমদের পারফরম্যান্স দেখে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা
নিচ্ছেন জাহানারারাও, ‘ভাইয়ারাও প্রায় দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে।
সবাই দারুণ পারফরম্যান্সের মধ্যে আছে। এটা আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
আমাদের বিশ্বাস, যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা শুরু করবো, আমরাও দারুণ
পারফর্ম করবো।’
অবশ্য প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও মেয়েদের
আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরার বিষয়টি এখনও অন্ধকারে। মার্চের শেষ সপ্তাহে দণি
আফ্রিকার ইমার্জিং দলের সঙ্গে খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারবে মেয়েরা।
কিন্তু জাহানারা মুখিয়ে আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে, ‘অবশ্যই মুখিয়ে
আছি। কারণ, দিনশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটাই তো আমাদের কাছে মূল বিষয়।’