
আগামী
১ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি
হবে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের বান্দুং শহরে। এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুই
দেশ দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এই ম্যাচটি
খেলছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে। এ বছরই জানুয়ারিতে
ইন্দোনেশিয়া সফর করে দেশটির বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি খেলার কথা ছিল
জামাল ভূঁইয়াদের। কিন্তু ফুটবলারদের করোনার টিকার ডোজ সমস্যায় সফরটি বাতিল
হয়। এবার মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে এই ম্যাচটির আয়োজন করে বাফুফে।
ফিফা
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮) চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া (১৫৯)।
র্যাংকিংই বলে দিচ্ছে ঘরের মাঠে এই ম্যাচে ফেভারিট ইন্দোনেশিয়াই।
এই
ম্যাচটি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের
ক্যাবরেরার জন্য একটা পরীক্ষাও। যেমন পরীক্ষা এর পর মালয়েশিয়ার তিন ম্যাচ।
মালয়েশিয়ায়
যে তিনটি দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপের বাছাই খেলবে সেই বাহরাইন,
তুর্কমেনিস্তান ও মালয়েশিয়া র্যাংকিংয়ে আরও এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। তাই
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে একটু ভালো ফল প্রত্যাশা করছেন সবাই।
যদিও ঘরের মাঠে ইন্দোনেশিয়া পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই মাঠে নামবে।
আন্তর্জাতিক
ফুটবলে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এ পর্যন্ত
দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে ৬ বার। যার মধ্যে চারবারই জিতেছে ইন্দোনেশিয়া,
একবার বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দুই দেশ প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল
১৯৭৫ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে। ম্যাচটি ইন্দোনেশিয়া জিতেছিল ৪-০ গোলে।
১৯৮৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-১
গোলে।
১৯৮৫ সালে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের একটি হেরেছিল
বাংলাদেশ, একটি জিতেছিল। জাকার্তার ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে।
ঢাকার ম্যাচে জিতেছিল ২-১ গোলে। বাংলাদেশের গোল করেছিলেন কায়সার হামিদ ও
আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু।
একই বছর এপ্রিলে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত
কায়েদ-ই আযম টুর্নামেন্টে দুই দলের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। বাংলাদেশ ও
ইন্দোনেশিয়ার সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২০০৮ সালে মিয়ানমারে গ্র্যান্ড রয়েল
চ্যালেঞ্জ কাপে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। এই
ম্যাচের পর আর দেখা হয়নি দুই দেশের। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ১ জুন মুখোমুখি হচ্ছে
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।