ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
টিকা নিতে গ্রামে উৎসব
Published : Sunday, 8 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 08.08.2021 12:42:46 AM
টিকা নিতে গ্রামে উৎসবমাসুদ আলম।।
করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা নিতে গ্ৰামে উৎসব চলছে। মানুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে টিকা কেন্দ্রে ছুটছেন। পা হেঁটে কিংবা রিকশা, ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে ইউনিয়নের নিকটস্থ টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। কোথাও চলমান বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ সারির লাইনে দাঁড়ান কাঙ্খিত টিকা নিতে। জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার আইডি কার্ড) নিয়ে আসলেই মিলছে টিকা। শনিবার (৭ আগস্ট) কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ও লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্র ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
লালমাই পেরুল উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দিলীপ সিংহ জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ পেরুল উত্তর ইউনিয়নের আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সকাল ৮ থেকে কেন্দ্রে আসছে শুরু করেছে মানুষ। টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িনো মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লাইন ঠিক রাখতে আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছি।
তিনি জানান, আগের তুলনায় মানুষে আগ্ৰহ বেড়ে টিকার প্রতি। এছাড়া আমরা মাইকিং করেছি কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে। শনিবার ৬শ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে এই কেন্দ্রে। দুইটি বুথে বিরামহীনভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের টিকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত লালমাই উপজেলার আলীশ্বর গ্রামের সবিতা রানী সানা। শনিবার সকালে আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ও তার স্বামী টিকা নেন। সবিতা বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিভিন্ন দেশে মানুষের অসুস্থতার খবরে তারা ভীত ছিলেন। এ কারণে প্রথম টিকা নেওয়ার সাহস পাননি। কিন্তু দেশের লাখ লাখ মানুষ টিকা নেওয়ার পরও সুস্থ আছেন। তাই তাদের মনোবল বেড়েছে। তাই ছেলেকে দিয়ে নিবন্ধন করে টিকা নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার সময় কোন ব্যথা বা ভয় পাননি।
লাকসাম গোবিন্দপুর গ্রামের আয়শা খাতুন গোবিন্দপুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল কেন্দ্রে টিকা নেন। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়ান। করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক টিকা নিবেন বলে মনে খুব উৎসাহ ছিলো। কষ্ট হলেও টিকা নিয়েছেন। আগে ভয় কাজ করলেও নেওয়ার সময় কোন ব্যথা বা ভয় পাননি।
তবে আয়শা খাতুনের অভিযোগ কষ্ট করে আগে এসে লাইনে দাঁড়ালেও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পরিচিত কেউ আসলে লাইনের নিয়ম না মেনে আগে দিয়ে দিচ্ছেন।
কুমিল্লা জেলার সিভিলে সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন থেকে গ্ৰামের ইউনিয়ন পর্যায়ের টিকা কেন্দ্রগুলোতে উৎসব দেখা দিয়েছে। টিকার প্রতি অবিশ্বাস্য ধরনের আগ্ৰাহ দেখা দিয়েছে মানুষের। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক কষ্ট করে টিকা নেওয়ার পর মানুষের কোন অভিযোগ নেই। মানুষ এখন চায় টিকা নিয়ে দেশকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে।