স্টাফ
রিপোর্টার।। কুমিল্লার জগন্নাথপুরের রাজমঙ্গলপুরে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি
সদস্য মোতাহার হোসেনের ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৬টি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এ
সময় বাড়ির মহিলাদের নাজেহালও করা হয়। ৩০/৩৫টি মোটর সাইকেল নিয়ে অন্তত দুই
শতাধিক লোক পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর
সৈয়দ মো: সোহেলের নেতৃত্বে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মোতাহার হোসেন
মেম্বারের বোন জানু বেগম। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হামলাকারী সম্পর্কে
কিছু জানেন না বলে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কেউ অভিযোগ দিলে হামলাকারী সম্পর্কে জানা যাবে।
জগন্নাথপুর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন জানান, কাউন্সিলর সোহেলের
নেতৃত্বে এ হামলায় হয় এবং হামলাকারীরা কাউন্সিলর সোহেলের লোক। হামলায় অংশ
নেওয়া লোকগুলো একটি চিহ্নিত মাদক পাচার সিন্ডিকেটে জড়িত। নুরপুরের ইব্রাহিম
এ হামলার সাথে ছিল।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর কুমিল্লার
জগন্নাথপুরের রাজমঙ্গলপুরের মাজার গেইট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য
মোতাহার হোসেনের ৩টি বাড়িতে সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঐসব বাড়ির ৬টি
ঘর ভাংচুর ও স্টিল আলমিরা থেকে অর্থ এবং স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়া হয়।
অন্তত দুই শতাধিক লোক পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলায় অংশ নেয়।
মোতাহার
হোসেন মেম্বারের ছেলে জানু বেগম জানান, আমার শরীরের কাপড় ছিড়ে ফেলে,
মেয়েকে ফেলে দেয়। ঘরে স্বর্ণের জিনিষপত্র নিয়ে গেছে তারা। সন্ত্রাসীরা
কুপিয়ে ঘর ভাঙ্গে। তাদের হাতে পিস্তল ছিল। হাতে হকিস্টিক ও ছেনি ছিল। একটি
ছেনি ফেলে যায়। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
তিনি জানান, পাথুরিয়া পাড়ার সোহেল কাউন্সিলরসহ আরো অনেকে ছিল হামলাকারীদের মধ্যে।
ঘটনার
পর কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল ও কোতয়ালী থানার অফিসার
ইনচার্জ আনোয়ারুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন। এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী থানার
অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, দুটি বাড়ি ভাংচুর করেছে। কারা ভাংচুর
করেছে তা জানতে পারি নাই। এজহার দিলে জানতে পারবো।
এ ব্যাপারে
যোগাযোগ করে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন জানান,
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো: সোহেলের নেতৃত্বে এ হামলার
ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা একটি মাদক পাচার সিন্ডিকেটে জড়িত। কাউন্সিলর সোহেল
পাথুরিয়াপাড়া থেকে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত সে নিয়ন্ত্রণ করে। হামলায়
গাজিপুর, রাজমঙ্গলপুর, অরণ্যপুর, জগন্নাথপুর, নুরপুরের মাদক সিন্ডিকেট
একসাথে মিলে এ হামলা চালিয়েছে।
হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ
প্রসঙ্গে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো: সোহেল জানান, আমি
একজন কাউন্সিলর আমি কেন গুন্ডামি করতে আরেক এলাকায় যাবো, আমার এলাকা ছেড়ে?
বিবির বাজার আর নুরপুরের ঘটনা। নুরপুরের মিলু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার
সাথে গন্ডগোল। নুরপুরের ইব্রাহিম মিয়াকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়। ইব্রাহিম
মিয়ার লোকজন গিয়ে তারার বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলে।
কাউন্সিলর সৈয়দ মো:
সোহেল আরো জানান, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন
বাহার এবং পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সার্কেল আমার সাথে কথা বলেছে। আমি
বসকে ঘটনা খুলে বলেছি। পুলিশ আসার পর বিবির বাজারের ঘটনা শুনেছি।