ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘যৌথ খামারে’র উদ্যোগে আলোচনা
Published : Tuesday, 12 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 12.01.2021 2:55:30 AM
‘যৌথ খামারে’র উদ্যোগে আলোচনাগত ৯ জানুয়ারি ঐতিহাসিক কুমিল্লা টাউন হলে ‘যৌথ খামার’-এর উদ্যোগে প্রথম প্রকাশ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং জনগণের প্রকৃত উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক-সমাজ চিন্তক ড. আনু মুহাম্মদ। এছাড়াও সভায় নির্ধারিত আলোচক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল এবং মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন বাবুল। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ঠ রাজনীতিক কমরেড পরেশ কর। সভা পরিচালনা করেন সমাজ-সংগঠক শহিদুল হক স্বপন। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেনÍ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি রাষ্ট্রের অধিকারী হলেও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। জনগণের কাছে সার্বিক বিচারে আমরা এখনো মুক্তির ফসল তুলে দিতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের এখানে যা হচ্ছে তা হলো উপরিকাঠামোর উন্নয়ন। প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে অর্থনৈতিক-অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশেরও উন্নয়ন ঘটানো যা আমরা সমন্বিতভাবে এখনো করতে পারছি না। আমাদের বর্তমান উন্নয়ন বিপরীতমুখী সংঘাতে-কর্মসূচিতে-ফলহীনতায় পরিপূর্ন। এইকারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবের যতটুকু এগুচ্ছি প্রাকৃতিক-পরিবেশ-মানবিক-সাংস্কৃতিক অর্জনে ততটাই পিছাচ্ছি। রাজনীতি-রাষ্ট্র-সমাজকে এই ঘাটতি পূরণ করতে এগিয়ে আসতেই হবে। ড. আনু মুহাম্মদ কুমিল্লায় প্রগতিশীল দল-ব্যক্তিবর্গের চিন্তাচর্চার যুথবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ‘যৌথ খামার’ এর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বিভক্ত ও হতাশ এবং নতজানু লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক সময়ে ‘যৌথ খামার’ যেভাবে মুক্তচিন্তার সাহসী অনুশীলন করছে তা দেশের অন্যান্য অংশের জন্যেও প্রেরণা ও উদাহরণ হবে বলে সভায় আশা প্রকাশ করা হয়।
সভা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় আবৃত্তিতে অংশ গ্রহণ করেন খন্দকার হুমায়ুন কবির এবং বাচিক শিল্পী আহম্মেদ কবীর। জাহিদুর রহমান মামুনের উপস্থাপনায় সমবেত সংগীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা ছিলেন নাজনীন কাজল, অনামিকা দেব, মিথিলা মজুমদার, নেলী দত্ত, সম্রাট, রনি এবং এমরান।
যন্ত্রশিল্পীরা হলেন কীবোর্ডে ভূষণ, অক্টোপ্যাডে খোকন এবং তবলায় পলাশ। সার্বিক শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন মাসুদ ইমরান এবং অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন রেহানা মফিজ। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে অভয়াচরন নৃত্যাজ্ঞনের সদস্যবৃন্দ।
আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক পর্বে ব্যাপক মানুষজন ক্রিয়াশীল শ্রোতা-দর্শক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।