কুমিল্লার
চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের জরুন্ডা গ্রাম। প্রায় দেড় হাজার মানুষের
বসবাসের ছোট ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দাদের
যোগাযোগ নেই বললেই চলে। যাতায়াতের জন্য মাত্র একটি সড়ক থাকায় প্রতিবেশি
গ্রামের বাসিন্দারা খুব বেশি প্রয়োজন না হলে যাওয়া হতো না জরুন্ডা গ্রামে।
ওই
গ্রামটির পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম সীমানা ঘেঁসা কংগাই ও কেশেরা গ্রাম।
কিন্তু যোগাযোগ সড়ক না থাকায় পাশের ওই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে তাদের
সম্পর্কের দূরত্ব অনেক বেশি।
সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধে
স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের
নির্দেশে সরকারি অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নতুন সড়ক
নির্মাণে তেমন কোন বরাদ্দ না থাকায় অতি দরিদ্রের কর্মসংস্থান প্রকল্পে ৪০
দিনের কর্মসূচীই এখন মূল ভরসা। শুরু হয়েছে কংগাই থেকে জরুন্ডা সড়ক নির্মাণ
কাজ। প্রতিদিন ৩৮জন শ্রমিক কাজ করছে ওই সড়ক নির্মাণে।
সরেজমিনে গিয়ে
দেখা যায়, চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর-কালিয়ারচর সড়কের কংগাই ফোটকাতলী
বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এতে হাসি
ফুটেছে জরুন্ডা ও কেশেরা গ্রামের অন্তত ৪ হাজার মানুষের।
ওয়ার্ড
মেম্বার মফিজুল ইসলাম জানান, জরুন্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাশে একটি মাত্র সড়ক।
যে কারণে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীরা কংগাই উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রধান সড়ক আসতে
অন্তত ৩ কিলোমিটার ঘুরে আসতো হতো। এখন নতুন সড়ক নির্মাণ করা হলে জরুন্ডা ও
কেশেরা গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া তিন
গ্রামের মানুষ যে কোন সামাজিক কর্মকান্ডে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন।
সোমবার
(২৮ নভেম্বর) নির্মাণাধীন সড়কটি পরিদর্শণে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) তাপস শীল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দেবেশ
চন্দ্র দাস সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি, ওয়ার্ড মেম্বার সহ তিন গ্রামের গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন
করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দেবেশ চন্দ্র দাস
জানান, জনগণের দাবী বাস্তবায়ন করতে এমপি মহোদয়ের নির্দেশে ওই সড়কটি নির্মাণ
হচ্ছে। এতে তিন গ্রামের মানুষের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
চান্দিনা উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসূচীতে ৩১টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে এই
প্রকল্পটি অন্যতম। এখানে ৩৮জন শ্রমিক ৪০দিনে নির্মাণ করবে ১ হাজার ৮শ ফুট
নতুন সড়ক। এছাড়া পুরো উপজেলায় উন্নয়ন কাজে প্রতিদিন ১ হাজার ৯৯ শ্রমিক ৪শ
টাকা পারিশ্রমিকে কর্মসূচীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।