নিজস্ব
প্রতিবেদক: গত ৮ বছরে কুমিল্লায় ৩২৭ জন কুষ্ঠ রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এর
মধ্যে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছে ৩০২ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২৫
জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে নগরীর
মুরাদপুর চৌমুহনীর সূর্যের হাসি ক্লিনিকে “ কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধ করুন, জীবন
পরিবর্তন করুন” শীর্ষক মতামত বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায়
জানানো হয়, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠ রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হওয়া
যায়। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা
দেওয়া হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত কুষ্ঠরোগের ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি। তবে এ
নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় জানানো হয়, দি লেপ্রসি মিশন
ইন্টারন্যাশনাল- বাংলাদেশ, কুমিল্লায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যম যৌথ
উদ্যোগে লেপ্রসী/ কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। কুষ্ঠ রোগ সমন্ধে
জনমত তৈরি করার জন্য যাতে প্রাথমিক অবস্থায় সবাই চিকিৎসার আওতায় আসে এবং
জনস্বার্থে মতামত গড়ে তোলার জন্য সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন দি
লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল- বাংলাদেশ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
মতবিনিময়
সভায় কুমিল্লা জেলায় লেপ্রসী মিশনের জেলা প্রতিনিধি মি: এ্যান্থনী কুইয়া
বলেন, কুষ্ঠরোগ সমন্ধে জনমনে এখনো কিছুটা ভীতি কাজ করে। এর মূল কারণ হচ্ছে
এই রোগ সমন্ধে মানুষের অজ্ঞতা ও জনসচেতনতার অভাব। অন্যান্য রোগের মতই কুষ্ঠ
একটি সাধারণ রোগ যা জীবাণু দ্বারা হয় এবং মাধ্যম হাঁচি, কাশির মাধ্যমে
মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এবং
চিকিৎসার আওতায় আসলে এই রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। সরকার বিনামূল্যে এই
ঔষধ সরবরাহ করে থাকেন, প্রতিটি উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এই
চিকিৎসা পাওয়া যায়। প্রাথমিক অবস্থায় শরীরের যে কোন স্থানে হালকা ফ্যাকাশে
দাগ দেখা দিবে আর এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এই দাগ কখনো চুলকাবেনা ও দাগের
অংশটুকু ধীরে ধীরে বোধ কমে যাবে। এছাড়াও এ জায়গাটিতে পশম উঠে যাবে, ঘাম
হবেনা কিছুটা শুষ্ক লাগবে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগীরা আসতে চায়না কারণ কোন
সমস্যা মনে করেনা তাই দেরি করে আসার কারনে অনেকে বিকলাঙ্গতা নিয়ে চিকিৎসায়
আসে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে
বাংলাদেশকে কুষ্ঠ মুক্ত দেখতে চায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে সকলের
অংশগ্রহণ ও ব্যাপক প্রচার একান্ত প্রয়োজন।
কুমিল্লা জেলায় লেপ্রসী
মিশনের জেলা প্রতিনিধি মি: এ্যান্থনী কুইয়া উপস্থিত সকল সাংবাদিক ও সকল
স্তরের জনগণকে অনুরোধ জানান, এই রোগ সমন্ধে জনমত তৈরি করার জন্য যাতে
প্রাথমিক অবস্থায় সবাই চিকিৎসার আওতায় আসে। এসময়