জনগণের
জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও
পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান
উন্নয়নে এবং জনস্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ
সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন সংস্থা নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশু স্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি
হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক
উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর
হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (পিপিডি)
৩৯তম নির্বাহী কমিটির সভা ও ২৭তম বোর্ড কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পিপিডি একটি আন্তসরকারি সংগঠন, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাজনিত ও
উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত এ
সভায় পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রের ২৩টি দেশের মন্ত্রী ও সহযোগী সমন্বয়কারীরা
অংশগ্রহণ করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পিপিডির সদস্য
রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা, অংশীদারত্ব, নেটওয়ার্কিং,
যুগোপযোগী উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহযোগিতা আগের চেয়ে বেশি
প্রয়োজন। উদ্ভূত নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা সদস্য রাষ্ট্রগুলো
একসঙ্গে কাজ করলে যথাযথ সমাধান খুঁজে পাবো।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন,
‘প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের সেরা দৃষ্টান্তগুলো আদান-প্রদান
করা উচিত। যাতে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখে পারস্পারিকভাবে লাভবান হতে
পারি।’
জনসংখ্যা ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পিপিডির সদস্য
দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দৃঢ়
করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির সভা শেষ হয়।
সভায় আওর ছিলেন–
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা,
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পিপিডি
বোর্ডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ দোয়াগি, চায়না স্বাস্থ্য কমিশনের
উপ-মহাপরিচালক লি ওয়েইসহ ইন্দোনেশিয়া, বেনিন, তিউনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার
মন্ত্রীপর্যায়ের ব্যক্তি এবং উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তারা।