হোমনা প্রতিনিধি: কুমিল্লার হোমনা  উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে   তাঁর পরিষদের ১১ জন সদস্যই  অনাস্থা  প্রস্তাব এনে অভিযোগ দিয়েছে। সোমবার  ২৪  জুন চান্দেরচর ইউনিয়নের ১২ জন সদস্যের মধ্যে  ১১ জন সদস্যই  স্থানীয় সংসদ সদস্য, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর  এ অনাস্থা দরখাস্ত দাখিল করেছেন।
অনাস্থা  প্রদানকারী সদস্যরা  হলেন সংরক্ষিত নারী সদস্য লাইলী হক, শাহনাজ পারভীন,তানিয়া আক্তার ও সাধারণ সদস্য মো. আলামিন  মো. রাজু মোল্লা,মো. ছিদ্দিকুর রহমান, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. স্বপন মিয়া, মো. রমিজ উদ্দিন,  মো. মাসুদ রানা ও মো. হেলাল উদ্দিন।
অনাস্থাকারী সদস্যদের অভিযোগ মোজাম্মেল হক   চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া পর থেকে  ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। তিনি  বেশীর ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন,মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে মিটিং না করে ইউপি সদস্যদের  নিকট থেকে রেজুলেশনে সই নেন।
সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্প দাখিল করে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এডিবি উন্নয়ন,রাজস্ব উন্নয়ন, ওয়ান পার্সেন, এলজিএসপি-৩ কর্মসৃজন  প্রকল্প  দিয়ে  বেশীর ভাগ  প্রকল্পের কাজ না করে অথবা সামান্য কাজ করে পুরো  টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়া  ভিজিডি উপকার ভোগীদের নিকট থেকে ২২০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা  আদায় করে তার নিজস্ব একাউন্টে জমা রাখেন।
শুধু তাই নয়  টিসিবির মালামাল বিতরণে ও  প্রতি প্যাকেজ ৪৬০ টাকার পরিবর্তে  ৫৫০ টাকা নির্ধারন করেছে।   
চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজু মোল্লা, সংরক্ষিত সদস্য লাইলী হক ও শাহনাজ পারভীন  জানান,  প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আমাদের স্বাক্ষর জাল করে   দুর্নীতির  আশ্রয় নিয়ে  রাজস্ব উন্নয়ন  তহবিলের ৩ টি প্রকল্পের  ২ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকার প্রকল্প দিয়েছে আমরা  এর কিছুই জানি না।  
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানের  মুঠোফোনে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া য়ায়। তবে ইউপি সচিব মো. মনির হোসেন  অনাস্থার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন  ঈদ উপলক্ষে  ভিজিএফ কার্ডের  চাল বিতরণ  নিয়ে    সমস্যা হয়েছিল। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে  সমস্ত চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে তারা এ অভিযোগ দিয়েছে।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা জানান,  চান্দেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের   একটি দরখাস্ত পেয়েছি। এতে অনাস্থা শব্দটি রয়েছে।  বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি।  তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা  হবে।