কুমিল্লায় একই প্রতিষ্ঠানের নারী সহকর্মী উত্যক্ত ও প্রতিষ্ঠানের অর্থআত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে একটি মাদরাসার অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ওই অধ্যক্ষ স্বেচ্ছায় অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যহতি চেয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদরাসার কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নাম মো. আনিছুর রহমান মোল্লা। সে মুরাদনগর উপজেলার খুরুইল সিনিয়র (আলিম) মাদরাসার অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।  
জানা গেছে, অধ্যক্ষ মো.আনিছুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষককে শ্লীলতাহানি ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে সম্প্রতি তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ওই প্রতিষ্ঠানের, শিক্ষক/শিক্ষিকা, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। এর প্রেক্ষিতে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলাউদ্দিন ভুঞা জনী ওই অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমিকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটি দীর্ঘ ছয় মাস তদন্ত করে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগের সত্যতা পান। পরে ওই তদন্ত কমিটি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান মোল্লাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের সুপারিশ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আলাউদ্দিন ভুঞা জনী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান মোল্লার চূড়ান্ত বরখাস্ত চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।   
তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান মোল্লা মাদরাসার আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষক-কর্মচারী অশোভন আচরণ, নারী সহকর্মী ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, অধক্ষের পদ শূন্য ঘোষণার উচ্চ আদালতের রায়ের আদেশ গোপন রেখে বিধি বহির্ভূতভাবে চাকরিতে পুর্ন:বহালসহ ১১টি স্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়।   
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, খুরুইল সিনিয়র (আলিম) মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আনিছুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি আমার বরাবর স্বেচ্ছায় অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি তার পদত্যাপত্রসহ তার বিরুদ্ধে আনা প্রমাণাদী  মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল পাঠিয়ে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে।