কুমিল্লায় উৎসবের আমেজে মনোনয়ন ফরম জমা দিচ্ছে আ’লীগ প্রার্থীরা
জহির শান্ত
|
পরে মন্ত্রী মোঃ
তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে
অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল, এমন লজ্জা জনক ঘটনার অভিজ্ঞতা
এদেশে মানুষের ছিল না। পরবর্তীতে মানুষ তাদের মোকাবেলা করেছিল। অত্যন্ত
দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক এ অভিজ্ঞতা মোকাবেলা করার শক্তি সামর্থ্য বাংলাদেশের
মানুষ অর্জন করেছে। অতএব অগ্নিসন্ত্রাসকে যেখানে মানুষ মোকাবেলা করেছে, এখন
মৃত্যু পদযাত্রীদের (বিএনপি-জামাত) মানুষ মোকাবেলা করবে না। যারা অগ্নি
সন্ত্রাস করেছে তারা আজ অনেক দুর্বল। তারা যখন সবল ছিল, অনেক শক্তিশালী ছিল
তখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের মোকাবেলা করেছিল। হরতাল এবং অবরোধের নামে
তাদের কর্মসূচির সাথে মানুষের সম্পৃক্ততার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়
না। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনে আসার বিষয়ে আমাদের সব সময়
আহ্বান ছিল। বিকাল সোয় তিনটার দিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং
অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন কুমিল্লা-১১
চৌদ্দগ্রাম আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব। এসময়
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মোঃ মীর হোসেন মীরু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথি দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক রুপম
মজুমদার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল
উপস্থিত ছিলেন। পরে মুজিবুল হক এমপি সাংবাদিকদের বলেন, চৌদ্দগ্রামবাসীর
ভোটে আগামী নির্বাচনে নির্বাচনে ইনশাল্লাহ আমি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হবো।
আগে যারা সন্ত্রাস করতো, জামায়াত। সেই জামায়াতের হাটু ভেঙ্গে গেছে, মেরুদ-
ভেঙ্গে গেছে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা
সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সেই উন্নয়ন চৌদ্দগ্রামেও হয়েছে।
চৌদ্দগ্রামের এমন কোনো গ্রাম বাকি নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
উন্নয়নের কারণে পুরো চৌদ্দগ্রামের মানুষ নৌকার পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে।এর কিছুক্ষণ পর বিকাল পৌনে চারটার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, এমপি বাহারের কন্যা তাহসিন বাহার সূচনা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল উপস্থিত ছিলেন। পরে এমপি বাহার সাংবাদিকদের বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, তখনও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এ চক্রান্ত আমরা ৭১ সালেও মোকাবেলা করেছি। ৭১ সালে যারা বাংলাদেশ চায়নি, আজকে তারাই চক্রান্ত করছে বাংলাদেশের এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেওয়ার জন্য। তবে আমার বিশ্বাস এ জাতি ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, এ জাতিকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে যে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছেন, সে ট্রেন কেউ থামাতে পারবে না। এর আগে বুধবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত কুমিলা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো: মহিনুল হাসানের কাছে মনোনয়নপত্র মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. আব্দুল মান্নান জয়, সহ-সভাপতি মো: বশিরুল আলম মিয়াজী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোসা: পারুল আক্তার, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন শিকদার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিএস সুমন সরকার, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শাহজান খন্দকার সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, আমি নির্বাচিত হলে প্রথমেই দাউদকান্দি এবং তিতাস উপজেলাকে মাদক, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজ মুক্ত করবো ইনশাল্লাহ। এই দুই উপজেলাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে আহবান জানান। |