১৩ জিম্মির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছেন ৩৯ ফিলিস্তিনি
|
![]() মিসরের সরকার বলেছে, তারা ১৩ ইসরায়েলি এবং ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তির সম্ভাব্য একটি তালিকা পেয়েছে রোববার। এক বিবৃতিতে মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান বলেছেন, চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আজ তৃতীয় দফায় বন্দী ও জিম্মিরা মুক্তি পাবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বিঘ্নতা ছাড়াই যুদ্ধবিরতি চলছে। রোববার মিসর থেকে গাজায় রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি জ্বালানিবাহী দুটি ট্রাক ও ১২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। যদিও এর আগে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে রোববার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বহনকারী দুই শতাধিক ট্রাক প্রবেশ করেছে। মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের চারদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে খাদ্য, পানি এবং ওষুধসহ রোববার দুই শতাধিক ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। গত শুক্রবার চারদিনের মানবিক বিরতির প্রথম দিনে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। বিনিময়ে ইসরায়েলি ও বিদেশি ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এরপর শনিবার ইসরায়েলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। মুক্তি পাওয়া অন্য চার বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক। যদিও দ্বিতীয় দফায় এই মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে বেশ কয়েক ঘণ্টার বিলম্বের পর ওই ১৭ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। ইসরায়েল চলমান যুদ্ধবিরতির একটি শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর বন্দি মুক্তিতে ওই বিলম্ব হয়। গত ৭ অক্টোবর গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। সাত সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী। এই যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ১৫০ শিশু ও ৪ হাজারের বেশি নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ গেছে ১ হাজার ২০০ জনের। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সৈন্য রয়েছে তিন শতাধিক। সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।
|