চুক্তির মেয়াদ বাকি
ছিল মাত্র ১২ দিন। তবে এর আগেই নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন জেমি
সিডন্স। আপাতত বিসিবির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে থাকছেন না তিনি। তবে ভবিষ্যতে
কোনো প্রয়োজন হলে আগামী বছর তাকে ফেরাতে পারে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন,
‘জেমি সিডন্স এখন আর আমাদের সঙ্গে নেই। প্রোগ্রাম যখন থাকে তখন মনে হয় তাকে
ডাকা হয়। এভাবেই তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বা মাসিক চুক্তি
হয়েছে কিনা আমি জানি না। আমি যতটুকু জানি বছরে কতদিনের জন্য কাজ করবে এই
ব্যাপারে চুক্তি আছে।’
প্রথম মেয়াদে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন
সিডন্স। কাজ করেন ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার অধীনে চার বছরে
বড় দলের বিপক্ষে দেশে-বিদেশে বেশ কিছু ওয়ানডে সিরিজ জেতা ছাড়াও ব্যাটিং
বিভাগে তামিম-সাকিবরা যথেষ্ট উন্নতি করেছিলেন। সব মিলিয়ে তার অধীনে
বাংলাদেশ ১৯ টেস্টের ২টি ও ৮৪ ওয়ানডের ৩১টিতে জিতেছে।
গত বছরের
ফেব্রুয়ারিতে জেমি সিডন্সকে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক
সংস্থা। হাথুরুসিংহে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দল থেকে সরিয়ে
দেয়া হয় সিডন্সকে। এরপর বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং
কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ছিলেন এইচপির ব্যাটিং পরামর্শকও। সিডন্সের
চাকরির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত।