নিজস্ব
প্রতিবেদক: যৌতুকের টাকা না পেয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গৃহবধু ঝর্ণা
আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী আবদুর রবকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার
দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ
আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় দিয়েছেন। এছাড়া আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ে
দ-িত করা হয়। এই দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
কুমিল্লার
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে নাঙ্গলকোটের বাম বাতাবাড়িয়া
এলাকার আবদুর রবের সাথে বিয়ে হয় ঝর্ণা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই আবদুর রব
ঝর্ণাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। বিভিন্ন সময় ঝর্ণাকে দিয়ে শ্বশুর
বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকায় আদায়ও করে। পরে এক সময় আবদুর রব আরো একটি বিয়ে
করে। এর পর থেকে ঝর্ণা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে তার উপর
অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। টাকা না দিলে ঝর্ণাকে মেরে ফেলার হুমকিও
দেয় আবদুর রব।
২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর রাত আড়াইটায় আসামি আবদুর রবের মা
রাবেয়া আক্তার ঝর্ণার বাবাকে ফোন করে জানায়- আবদুর রব তার স্ত্রীর সাথে
ঝগড়া করে তাকে মারপিট করে হত্যা করেছে। পরে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ঝর্ণার
মরদেহ দেখতে পায় শামসুল হক। পরদিন ৩০ নভেম্বর শামসুল হক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট
থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ আসামি আবদুর রবকে আটক
করে। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানির পর ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই
রায় দেন।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।