নিজস্ব
প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক: হাসপাতালের নেই কোন লাইসেন্স। এমন খবরে
হাসপাতালে শুরু হয় অভিযান। কিন্তু অভিযানের ভয়ে হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়েছে
সবাই। হাসপাতাল খালি। নেই অভ্যর্থনাকারী। না আছে কোন চিকিৎসক। না আছে কোন
নার্স বা প্যাথলজিস্ট। জ্বলছিলনা কোন লাইট। অথচ গতকালও এই হাসপাতালে রোগীর
চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। এমন ঘটনা কুমিল্লার একটি হাসপাতালের। নাম কুইন্স
ডিজিটাল হাসপাতাল লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কুমিল্লার নগরীর টমছম
ব্রিজ এলাকার এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে এমন
চিত্র উঠে আসে। পরে হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে সিলগালা করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো.
মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার।
এদিকে
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অভিযানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তিনটি ক্লিনিক
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনিয়ম পাওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ পনের হাজার
টাকা জরিমানা করা হয়। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন
ভূঞা জনী জানান, লাইসেন্স বহির্ভূত ক্লিনিক পরিচালিত করায় পাহাড় পুর ও
পান্তি বাজারের জননী মেডিকেল হল, মা মনি ডায়গনস্টিক সেন্টার ও আশ শেফা
নরমাল ডেলিভারি ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে তিন লাখ
১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
এদিকে নগরীতে স্বাস্থ্য বিভাগের
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, টমছমব্রীজ এলাকার কুইন্স
হাসপাতালের কোন লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা
আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স
ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে
নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোন ডিউটি ডাক্তার ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে
আসছিল। হাসপাতালে অভিযানে ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে
পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার বলছেন তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের
চলে যেতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযানের সময়ও কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে
ছিল না কোন রোগী বা চিকিৎসক অথবা দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তা। পুরো ভবনের
কেয়ারটেকার হাসপালের সামনে বসে ছিলেন। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতা নিয়ে
ওই হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র
না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
সিভিল
সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান জানান,
হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা
চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কতৃপক্ষকে
পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি
সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সিনিয়র
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট ইমদাদুল হক জানান, অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স
হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি তাই তাদেরকে জরিমানা ও
সিলগালা করা হয়েছে।