বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪
৭ কার্তিক ১৪৩১
অভিযানের খবরে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে সবাই!
কুমিল্লা ও মুরাদনগরে ৪ প্রতিষ্ঠান বন্ধ, ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
প্রকাশ: বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩, ১:০০ এএম |

অভিযানের খবরে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে সবাই!


নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক: হাসপাতালের নেই কোন লাইসেন্স। এমন খবরে হাসপাতালে শুরু হয় অভিযান। কিন্তু অভিযানের ভয়ে হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়েছে সবাই। হাসপাতাল খালি। নেই অভ্যর্থনাকারী। না আছে কোন চিকিৎসক। না আছে কোন নার্স বা প্যাথলজিস্ট। জ্বলছিলনা কোন লাইট। অথচ গতকালও এই হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। এমন ঘটনা কুমিল্লার একটি হাসপাতালের। নাম কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কুমিল্লার নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে এমন চিত্র উঠে আসে। পরে হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে সিলগালা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার।
এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অভিযানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তিনটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনিয়ম পাওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ পনের হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী জানান, লাইসেন্স বহির্ভূত ক্লিনিক পরিচালিত করায় পাহাড় পুর ও পান্তি বাজারের জননী মেডিকেল হল, মা মনি ডায়গনস্টিক সেন্টার ও আশ শেফা নরমাল ডেলিভারি ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।  
এদিকে নগরীতে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, টমছমব্রীজ এলাকার কুইন্স হাসপাতালের কোন লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোন ডিউটি ডাক্তার ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল। হাসপাতালে অভিযানে ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার বলছেন তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযানের সময়ও কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে ছিল না কোন রোগী বা চিকিৎসক অথবা দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তা। পুরো ভবনের কেয়ারটেকার হাসপালের সামনে বসে ছিলেন। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান জানান, হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কতৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট ইমদাদুল হক জানান, অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।













সর্বশেষ সংবাদ
নতুন বইয়ের বর্ণিল নতুন বছর
নৌকায় ভোট নিতে ভাতার কার্ড আটকে রাখার অভিযোগ
শান্তির নোবেলজয়ী থেকে দণ্ডিত আসামি
শ্রমিক ঠকানোর দায়ে নোবেলজয়ী ইউনূসের ৬ মাসের সাজা
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা অধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ডাঃ রুহিনী কুমার দাস এর দায়িত্ব গ্রহণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত
বরুড়ায় শ্রমিকদল নেতাকে ছুরিকাঘাত
অর্ধেক দামে ফ্রিজ বিক্রি করছেন ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী
বাড়ির জন্য কেনা জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া একই পরিবারের ৪ জনের কবর
৫৫ কেজি সোনা চুরি, ফের রিমান্ডে দুই রাজস্ব কর্মকর্তা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২