কুমিল্লায় জব্দ করা আলু সরকারি দামে বিক্রি
তানভীর দিপু
|
![]() জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে কুমিল্লার চকবাজার পাইকারি বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের মজুদ, ক্রয় ভাউচার ও বেচা-বিক্রির তথ্য যাচাই করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, মেসার্স অরবিন্দ এন্টারপ্রাইজে বসে বগুড়া ও চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার ভাউচার নকল করা হচ্ছে এবং নিজেদের মতো রেট বসিয়ে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে এ সময় টিমের উপস্থিতি দেখে একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ক্রয়ের বৈধ কোন প্রমাণক/ভাউচার প্রদর্শন করতে না পারায় গোডাউনে রক্ষিত ১০৮ বস্তা (৬,৪৮০ কেজি) আলু জব্দ করে সরকার নির্ধারিত রেট ৩৫ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৯ বস্তা আলু বাজারে আগত খুচরা বিক্রেতাদের নিকট এবং ৮৯ বস্তা আলু শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণের মাঝে বিক্রি করে দেওয়া হয়। চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি এ বেচা-বিক্রি কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এছাড়াও আজ মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠান দুটি - হাজী ফয়েজ স্টোর ৩ হাজার টাকা এবং তমাল কৃষ্ণ সাহা ২ হাজার টাকা। তদারকি কার্যক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন, চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানায় ভোক্তা অধিকার।
|