স্ত্রীকে মোবাইল উপহার দিয়ে ধরা পড়লো ‘ডাকাত চক্র’
|
![]() বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকায় ও শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডাকাতির এক লাখ সাতচল্লিশ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান তিনি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শিবচর থানা এলাকার যদুয়ার চর গ্রামের মৃত ইয়াছিন বেপারীর ছেলে আ. সালাম বেপারী (৪২), মারফত আলীর ছেলে সোহেল সরদার (৩০), মৃত হাতের আলীর ছেলে রুবেল আকন (৪০) ও লিয়াকত খানের ছেলে পাভেল খান (৩২)। পুলিশ জানায়, এরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছিল এবং এদের নামে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। গত ২ এপ্রিল ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাসাগাড়ি এলাকার ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে একটি ডাকাতির ঘটনার মামলায় তারা গ্রেফতার হন। ওইদিন ফিল্মিস্টাইলে মোটরসাইকেল দিয়ে একটি পিকআপের গতিরোধ করে। সোহেল খান নামক এক পোলট্রি মুরগি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পাঁচ লাখ ছিয়াশি হাজার টাকা ও একটি এমআই-১১ ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত চলে যায় চক্রটি। ওই ব্যবসায়ী মুরগি কেনার উদ্দেশে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে যাচ্ছিলো। এ ঘটনায় পিকআপ ড্রাইভার নুরুস খা বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা কোনও কূল-কিনারা পাচ্ছিলাম না। এপ্রিল মাসের পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। মোটরসাইকেলে ডাকাতির ঘটনায় ভেবেছিলাম ওই এলাকার কেউ না কেউ জড়িত। কিন্তু আমরা যখন ব্যর্থ হলাম তখন ডাকাতি হওয়া মোবাইলটি নিয়ে কাজ শুরু করি। এই মোবাইলের সূত্র ধরেই গত কয়েক দিন আগে আমরা শিবচর থানা এলাকায় সালাম বেপারীকে শনাক্ত করি। তার স্ত্রী মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতো। সে জানায়, মোবাইলটি তার স্বামী দিয়েছে। তখন আমরা সালাম বেপারীকে গ্রেফতার করি এবং সে ঘটনাটি স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, সোহেলকে গ্রেফতার করি। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানায়, এ ঘটনায় পাঁচজন জড়িত ছিল। এরপর গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেল ও পাভেলকে গ্রেফতার করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া আরও একজনকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইমদাদ হুসাইন, কোতয়ালী থানার ওসি এমএ জলিল, নগরকান্দা থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন।
|